নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, সচেতনতা সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেন চলা অব্যাহত রাখতে হবে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকলে ধৈর্য্য, মানবিকতা, আশাবাদ ও সহমর্মিতা অটুট রাখুন।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বৈশি^ক মহামারি ভয়ঙ্কর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সারা দুনিয়া। বিশে^র উন্নত রাষ্ট্রসমূহও করোনার নির্মম ছোবলে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। দেশের অর্থনীতি ও স্বাভাবিক জীবনাচার স্তব্ধ। করোনা অতি দ্রুত সংক্রমিত ভাইরাস হওয়ায় তা প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি চলছে, দেশে হাট-বাজার, শপিংমল, রাস্তা-ঘাট, যানবাহন, শিল্প-কারখানা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস-আদালত সবই বন্ধ রয়েছে। তারপরও পাড়া-মহল্লায়, গ্রামের অলিগলিতে সমাগম ও আড্ডার মতো খাম-খেয়ালি ঘটনা এখনও বন্ধ হয়নি। কতিপয় অচেতন ও অবিবেকবান মানুষের কারণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। যেহেতু করোনার কোনো প্রতিষেধক নেই এবং সংক্রমণ রোধই একমাত্র করোনা প্রতিরোধের হাতিয়ার সেহেতু সকলের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অপরিহার্য কর্তব্য।
তিনি বলেন, যদি আমরা সম্পূর্ণ সচেতন হই এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করি, নিয়মিত হাত ধুই, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলি, মুখে মাস্ক ব্যবহার করি, কারো হাঁচি-কাশি বা এই জাতীয় কোনোকিছু দেখলে তার সংস্পর্শে না যাই, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকি, সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি। ঘর থেকে বের না হই। তাহলেই ভয়াবহ এই ভাইরাসের গতি রোধ করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রথম থেকেই সকলকে সচেতন হওয়ার এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার অনুরোধ করে আসছে। ঘর থেকে বের না হওয়া নিশ্চিত করতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে এবং সাধারণ ছুটির কারণে খেটে-খাওয়া দিনমজুর মানুষদের জন্য খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান মানুষেরাও এগিয়ে এসেছে। তারপরও সকলের শতভাগ সচেতনতা নিশ্চিত হয়নি। শতভাগ সচেতনতা ও সতর্কতা নিশ্চিত করার এখনই চূড়ান্ত সময়। সামান্য অবহেলায় ঘটে যেতে পারে বিপর্যয়। তাই শতভাগ সামাজিক সচেতনতা নিশ্চিত করুন।