নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস গতকাল রবিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন- সকলেই অপরিহার্যভাবে মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ থাকুন, জীবন ও স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখুন। প্রাণঘাতি মহামারি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে সকলকে অধিকতর সচেতন হতে হবে।
গতকাল রবিবার মুন্সীগঞ্জের রামপাল এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় উদ্বুদ্ধকরণে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি বিভিন্ন এলাকার পথে-প্রান্তরে, পথ-ঘাটে, হাটে-বাজারে মাস্ক ছাড়া ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঘুরে বেড়ানো সাধারণ মানুষকে ডেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, সহ-সভাপতি শেখ মনিরুজ্জামান রিপন, শ্রমিক লীগ নেতা আবুল কাশেম, জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম রসুল সিরাজী রোমান, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম পলাশ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আপন দাস, পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শহীদুল ইসলাম ঢালী প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, প্রাণঘাতি মহামারি করোনা ভাইরাস বর্তমান সময়ে একটি বিক্ষুব্ধ ও বিপর্যস্ত পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। প্রতিনিয়তই অতি দ্রুতলয়ে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে; দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। তাই মানুষের জীবন রক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে। সকলকেই যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি এবং স্বাস্থ্যবিভাগ ও সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার ক্ষেত্রে অধিকতর যত্নবান হতে হবে। সকলকে মনে রাখতে হবে, মানুষের চেয়ে মূল্যবান আর কোনো কিছু নেই। কেউ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে অবস্থান করবেন না। অযথা একত্রিত হয়ে আড্ডা দিবেন না। বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং ঘরে-বাইরে যেখানেই থাকেন না কেন, বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিজেকে জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, একমাত্র সচেতনতাই পারে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা থেকে আমাদের সমাজ ও দেশকে রক্ষা করতে। তাই সকলের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে স্বাস্থ্য সচেতনতার সকল নীতি অনুসরণ করা। একই সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি বলেন, লকডাউনে সমাজের দরিদ্র্য অসহায় মানুষের যেন কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য সরকার যথাসাধ্য বরাদ্দ প্রদান করেছে এবং পূর্বের ন্যায় সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তারপরও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল মানুষেরও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই যাদের আর্থিক সঙ্গতি রয়েছে তাদেরকে সমাজের সমস্যাগ্রস্ত মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে।