নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ১০ই জানুয়ারি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি পাকিস্তানের কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠ থেকে মুক্তি লাভ করে ১৯৭২ সালের এই দিনে তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করলে ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি করে রাখে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে বাঙালি জাতি দখলদার পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে। বিশ্ব-মানচিত্রে অভ্যুদ্বয় ঘটে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মুক্তিযুদ্ধের পরিপূর্ণ বিজয় এনে দিয়েছিল। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় কাক্সিক্ষত বিজয়Ñ হয় পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তিÑ স্বাধীন-সার্বভৌম জাতি রাষ্ট্র। কিন্তু তখনও বাংলার আকাশে উদিত প্রত্যুষের প্রভাকর কুয়াশাচ্ছন্ন, মেঘাবৃত; বাঙালির ঠোঁটে লেগে থাকা বিজয়োল্লাসে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা-আশঙ্কা আর শূন্যতার আস্তরণ। মুক্তির মহানায়ক স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা, বাঙালি জাতির জনক, জাতীয়তাবাদী চেতনার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন পাকিস্তানী কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে বন্দি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন বাঙালি জাতির হৃদয়ে প্রজ্জ্বলিত করেছিল অনুপ্রেরণার দেদীপ্যমান আলোক শিখা। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করা হয়েছিল ‘‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে”। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই শুভক্ষণে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আরও তাৎপর্যপূর্ণ ও সুগভীর আহ্বান নিয়ে আমাদের সামনে সমাগত। আজকের এই শুভক্ষণে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাঁরই নির্দেশিত পথ ধরেই এগিয়ে যাবার দৃপ্ত শপথে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।