নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে তাদের মরণোত্তর বিচার করতে হবে এবং ২১ আগস্টের মাস্টার-মাইন্ড দন্ডিত পলাতক আসামী তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখী ও রায় কার্যকর করতে হবে। খালেদা-তারেকের মতো যারা হত্যা-কুচক্রান্তের অপরাজনীতিকে প্রতিষ্ঠা এবং পৃষ্ঠপোষকতা করে প্রকৃত-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তাদেরকে রাজনীতি থেকে নির্বাসনে পাঠাতে হবে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও গণভোজে অংশগ্রহণ করে এ কথা বলেন তিনি। এসময় মানিকপুর, গণকপাড়া, খাসকান্দি, চরশিলমন্দী, রমজানবেগ, দেওভোগ, মধ্য কোর্টগাঁও, দক্ষিণ কোর্টগাঁও, জমিদারপাড়ায় আয়োজিত শোক দিবসের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন, পৌর কাউন্সিলর মকবুল হোসেন, জাকির হোসেন, আব্দুল মান্নান দর্পন, ফরহাদ হোসেন আবির, জেলা পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা মনিরুজ্জামান শরিফ, শ্রমিক নেতা আবুল কাশেম, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম পলাশ, সাবেক ছাত্রনেতা কাজী আসাদুজ্জামান সিপু প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দকে সমূলে হত্যা প্রচেষ্টায় সংঘটিত ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা। গ্রেনেড মেরে একটি রাজনৈতিক সংগঠনের মূল নেতৃত্ব সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করার এমন জিঘাংসামূলক রাজনীতির ঘটনা সমকালীন বিশ্বে আর ঘটেনি।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানীর বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখতে এবং শান্তি গণতন্ত্র উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে তাদের বিচার করতে হবে। প্রয়োজনে মরণোত্তর বিচার করতে হবে। একইসাথে যদি আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে হয়; তাহলে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী, আমাদের জাতিগত শত্রু পাকিস্তানি সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের ক্রীড়ানক, মুম্বাইয়ের মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠজন, ৩টি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী, বাংলাদেশের মানুষের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেট ক্রিমিনাল, কিলার তারেককে দেশে ফিরিয়ে এনে ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। খালেদা-তারেকের মতো যারা হত্যা ও চক্রান্তের অপরাজনীতিকে প্রতিষ্ঠা এবং পৃষ্ঠপোষকতা করে কল্যাণকর-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তাদেরকে রাজনীতি থেকে নির্বাসনে পাঠাতে হবে।
তিনি বলেন, মার্কিন সাংবাদিক লরেনস্ লিফশুলজ বলেছেন বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পেছনে যারা ছিল, তারা জিয়াউর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া আগায়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের পৃষ্ঠপোষক জিয়াউর রহমানকেও মরণোত্তর বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত অপশক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে পেশাদার খুনিদের দিয়ে গ্রেনেড মেরে দেশের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠনকে সমূলে বিনাশ করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। মূলতঃ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল তৎকালীন রাষ্ট্রযন্ত্রের সংঘটিত ঘৃণিত পাপ। আর পাপী ছিলেন তৎকালীন বিএনপি জোট সরকার। এই জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং সরকারের নিয়ন্ত্রক তারেক জিয়া। পলাতক তারেক রহমান ছিলেন ২১ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড।
১৫ আগস্টের নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের এবং ২১ আগস্টের মাস্টার-মাইন্ড পলাতক তারেক রহমানকে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে – অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি
আগের পোস্ট