নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার শিলই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চরগাঁরপার গ্রামে গত ২৯ মে শনিবার সকাল ৯টার দিকে রুমি আক্তার (১৪) কে ধর্ষণ করে একই গ্রামের মালেক ভূইয়ার ছেলে মামুন ভুইয়া (২২)। বিষয়টি ব্যবস্থার কথা বলে মেয়েকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার রিয়াজুল ইসলাম হাকিম। জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার শিলই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চরগাঁরপার গ্রামের সাজু বেগম অত্যন্ত গরীব। মৎস্য শিকার ও গরু লালন-পালন করে একপুত্র ও এক কন্যা নিয়ে অতিকষ্টে জীবিকা নির্বাহ করে। তার স্বামী মস্তিস্ক বিকৃত একজন কর্মহীন মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ মে শনিবার আনুমানিক সকাল ৯টায় গরুর ঘাস কাটতে যায় মা ও মেয়ে রুমি আক্তার। একপর্যায়ে এক আঁটি ঘাস নিয়ে মা সাজু বেগম নৌকায় রাখতে গেলে সুযোগ বুঝে মামুন ভুইয়া মেয়ে রুমি আক্তারকে ধর্ষণ করে। ঐসময় মেয়ের আর্তচিৎকার শুনে মা দৌড়ে এলে ধর্ষক মামুন ভুইয়া পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ঐ দিনই সাজু বেগম মেয়েকে নিয়ে ধর্ষক মামুনের বাবা-মায়ের কাছে বিচার চাইতে গেলে প্রথমে তারা ঘটনাটি অস্বীকার করে। পরে মামুনের স্বীকারোক্তিতে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে মেয়ের মা অস্বীকৃতি জানিয়ে মামলার কথা বললে ধর্ষকের নিকট আত্মীয় ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার রিয়াজুল ইসলাম হাকিম থানায় গিয়ে মামলা না করতে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং বলে বিষয়টির আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি। একপর্যায়ে ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও কোন আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ায় মেয়ের মা সাজু বেগম গতকাল মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
২৫ হাজার টাকায় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা
আগের পোস্ট