আরাফাত রায়হান সাকিব॥ শুরু থেকেই নানা প্রতিকূলতা এসেছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মান কাজে। তবে চড়াইউৎড়াই পেরেই বর্তমানে চলমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই থেমে থাকেনি সেতুর নির্মানযজ্ঞ। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও নির্মান শ্রমিকদের রাতদিন হাড়ভাঙা খাটনিতে সময়ের সাথে এগিয়ে চলছে সেতুর নির্মান কাজ । এর ধারবাহিতকায় শনিবার(২৮ই মার্চ) জাজিরা প্রান্তে ২৭ ও ২৮নং পিয়ারে বসানো হবে ২৮ সেতুর ২৭ তম স্প্যান ‘৫-সি’ । ২৬তম স্প্যান বসানোর ১৮দিনের মাথায় সেতুর পিলারের উপর ২৬তম স্প্যানটি বসানো হবে। এতে দৃশ্যমান হতে চলেছে সেতুর ৪হাজার ৫০ মিটার অংশ। অর্থাৎ ৪কিলোমিটার ও কিছু অংশ। পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মোঃ আব্দুল কাদের এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
তিনি জানান, শুক্রবার (২৭মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ‘তিয়ান-ই’ ভাসমান ক্রেনে স্প্যানটি রওনা করে। বেলা ১০টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ২৭ ও ২৮ নং পিলারে কাছে পিলারের কাছে এসে পৌঁছে ক্রেণ নোঙর করে রাখা হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টায় থেকে শুরু হবে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম।
এদিকে এরমধ্যেই সেতুর ৪১টি পিয়ারের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে বাকি ২টি পিয়ারের কাজ শেষ হবে ।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হলো ২৬টি স্প্যান। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পিলার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।