শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ঘন কুয়াশায় ৯ ঘন্টা ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি
নিজস্ব প্রতিবেদক
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ঘন কুয়াশার কারণে ৯ ঘন্টা ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় গতকাল সোমবার লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। কুয়াশার কারণে গত রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় দূর্ঘটনা এড়াতে ফেরী চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কুয়াশা কমে যাওয়ায় ফেরী চলাচল স্বাভাবিক হলেও ১৩টি ফেরী দিয়ে রাতের গাড়ি পার না হতেই ঘাট এলাকায় প্রচুর গাড়ি চলে আসায় চাপ সৃষ্টি হয়। গতকাল বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঘাট এলাকায় দক্ষিণ বঙ্গগামী শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও ৩ শতাধিক ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পারের অপেক্ষায় ছিল। ছোট গাড়িগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে পার করা হয়েছে।
এর আগে রাতে কুয়াশার সময় দুই পার থেকে ছেড়ে যাওয়া ১০টি ফেরী দিক নির্ণয় বয়াতি না দেখায় মাঝ নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নোঙরে ছিল। দুই পারে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৫ শতাধিক ছোট বড় যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় ছিল। ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ছেড়ে আসা দক্ষিণ বঙ্গগামী ২০টি নাইটকোচ সকালেও পার হতে পারেনি। রাতে মাঝ নদীতে ও ঘাটে আটকে থাকা এ রুটের হাজারো যাত্রীদের কনকনে ঠান্ডা ও কুয়াশায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
মাওয়া বিআইডব্লিউটিসি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাজাহান আলী জানান, কুয়াশার কারণে গত রবিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে গতকাল সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ফেরী চলাচল বন্ধ ছিল। ৯ ঘন্টা বন্ধ থাকায় দুই পারে ৫ শতাধিক যানবাহন আটকে আছে। কুয়াশার কারণে মাঝ নদীতে রাতে ১০টি ফেরী নোঙরে ছিল। শিমুলিয়া ঘাটে ২০টির মত নাইটকোচ বেলা ১০ টায়ও পার করা সম্ভব হয়নি।
মাওয়া বিআইডব্লিউটিসি উপ সহকারি ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল জানান, ১৩টি ফেরী দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে, তবুও চাপ কমছে না। নতুন করে আরো গাড়ি এসে যোগ হচ্ছে। এতে করে যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় ৪ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে। রাতে আবার কুয়াশার ঘনত্ব বাড়লে মুশকিল হয়ে পড়বে।