ফিচার ডেস্ক
লকডাউনে ঘরবন্দি। সময় কাটছে মুঠোফোন কিংবা ল্যাপটপের পর্দায় চোখ রেখে। টিভি পর্দাও বাদ যাচ্ছে না। যারা বাসায় বসে অফিসের কাজ করে যাচ্ছেন, তারা তো আছেনই। দীর্ঘ সময় স্ক্রিনে চোখ রাখায় ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব পড়ছে চোখে। আপনি হয়তো বুঝতে পারছেন, আবার অনেক সময় এনিয়ে ভাবনার সময়ও হয়তো নেই।
চিকিৎসকরা বলছেন, দীর্ঘ সময় স্ক্রিনে চোখ রাখায় চোখ জ্বালা করতে পারে। ব্যথা হতে পারে। ঝাপসাও দেখতে পারেন কেউ কেউ। এ থেকে পানি পড়া বা মাথা ধরার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই অমূল্য রত্ন চোখ দুটোর খেয়াল রাখা জরুরি। অবহেলা করলে দিতে হতে পারে বড় খেসারত।
এই পরিস্থিতিতে কীভাবে যত্ন নিবেন চোখের, সেই তথ্যই তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক এই গণমাধ্যমের ফিচারে। যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হয়েছে। যা মেনে চললে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকবে। পোহাতে হবে না অস্বস্তি।
সময় মেনে অনলাইনে থাকুন : অফিসের মতো বাসাতেও কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নিন। এতে সারাক্ষণ অনলাইনে থাকতে হবে না। চোখও রাখতে হবে না স্ক্রিনে। এতে আপনার চোখেও সুরক্ষিত থাকবে। বেঁচে যাবেন ক্ষতি থেকে।
বিরতি নিন নিয়ম মেনে : একটানা কোনো কাজই ভালো ফল বয়ে আনে না। তাই কাজের মাঝে কিছু সময়ের জন্য বিরতি নিন। প্রতি ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পর স্ক্রিন থেকে বিরতি নিন। চোখ বুজে রাখুন কয়েক মুহূর্ত। চোখের চারপাশের পেশীগুলো হালকা ম্যাসেজ করুন। দুই ঘণ্টা পর পর চোখে পানি দিন। তবে চোখ শুকনো লাগলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভুলেও চোখ হাত দিয়ে রগড়াবেন না।
আলো চোখের জন্য ভালো : অন্ধকার বা কম আলোতে মুঠোফোন বা ল্যাপটপে চোখ রাখবেন না। এতে চোখের বেশি ক্ষতি হয়। উজ্জ্বল আলোর নিচে বসে কাজ করুন।
স্ক্রিন থেকে চোখ দূরে রাখুন : কাজ করার সময় স্ক্রিন থেকে চোখকে নির্দিষ্ট দূরত্বে রাখুন। কখনোই চোখের খুব কাছে স্ক্রিন আনবেন না। এতে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
পুষ্টিকর খাবারের বিকল্প নেই : চোখের যত্নে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের বিকল্প নেই। যেসব খাবারে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে, নিয়মিত খাদ্য তালিকায় তা যুক্ত করুন। বিশেষ করে বাদাম, আখরোট, মাছ এবং সাইট্রাস ফল নিয়মিত খান। এই খাবারগুলো আপনার চোখের সুরক্ষায় ভালো ভূমিকা রাখবে। স্থূলতা কমাবে, নিয়ন্ত্রণে রাখবে টাইপ ২ ডায়াবেটিস। মাছের মধ্যে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অন্ধত্ব দূর করতে কার্যকর বলে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে।
পরিবারকে সময় দিন : লকডাউনের এই সময়ে ঘরবন্দি থেকে সারাক্ষণ কাজ করবেন না। পরিবারকেও সময় দিন। আড্ডা দিন প্রিয়জনদের সঙ্গে। দেখবেন এতে বিষন্নতা যেমন কেটে যাবে তেমনি সারাক্ষণ মুঠোফোন বা ল্যাপটপে চোখ রাখতে হবে না। সুন্দর অবসর কাটিয়ে উৎফুল্ল হয়ে উঠুন। কাজের জন্য সতেজ মনোভাবও যে বড় প্রয়োজন।