নিজস্ব প্রতিবেদক
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে গত বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাত থেকে ১৩টি ফেরি চলাচল করছে। গতকাল শুক্রবার সকালে ঘাটে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক থাকলেও ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের তেমন কোনো উপস্থিতি চোখে পড়েনি। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারি ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় রাত থেকে ফেরি চালু হয়েছে। এখন ১৩টি ফেরি চলছে। ঘাট এলাকা ফাঁকা, মানুষের ভিড় নেই। শিমুলিয়া ঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিউটিসি কর্মীরা বলছেন, “প্রতিবছর রমজানের শেষদিকে ঘাটে ঘরমুখী যাত্রীদের প্রচন্ড চাপ থাকে। এবার করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ কমে এসেছে। ২৮ রমজানে এমন ফাঁকা ঘাট কখনোই দেখিনি।”
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করছে গণপরিবহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন। হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আব্দুল বাসেত জানান, এখন কোনো যান আটকানো হচ্ছে না বা ঢাকার দিকে ফেরতও পাঠানো হচ্ছে না। ঘাট সুত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকেল থেকে করোনার দুর্যোগ ও ঘূর্নিঝড় আম্ফান যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটি কর্তৃপক্ষ। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ঘাট এলাকায় ছোট ছোট পরিবহন ফেরি পারপার হতে দেখা গেছে। তবে ঘাট এলাকায় কোন যাত্রীবাহী পরিবহন নেই। ঢাকা থেকে আসা যাত্রীরা অনেক দূর থেকে পায়ে হেঁটে ঘাটে পৌঁছাচ্ছে । লঞ্চ এবং সি বোট চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ফেরিতেই পাড়ি দিচ্ছে পদ্মা নদী। অতিরিক্ত ডিআইজি (অপরাধ) জিহাদুল কবির জানান, যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব এবং শৃঙ্খলা বজায় রেখে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। বর্তমানে ঘাট এলাকায় গাড়ী কিংবা যাত্রীদের কোন চাপ নেই। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি সত্ত্বেও ঈদ উপলক্ষে দলে দলে মানুষ গত কয়েকদিন ধরে গ্রামে যাচ্ছিলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘাট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে ১৩ টি ফেরি চলছে, ঘরমুখী যাত্রীদের ভিড় নেই
আগের পোস্ট