ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রিকেট-ফুটবল ম্যাচের শুরুতেই খেলায় অংশগ্রহণকারী দেশ সমূহের জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় এবং সংগীতের সম্মানার্থে উপস্থিত সবার দাঁড়িয়ে যাওয়ারই নিয়ম। যুক্তরাষ্ট্রেও একই নিয়ম ছিল, তবে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর অভিনব সিদ্ধান্ত বেছে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ফুডবল ফেডারেশন (ইউএসএসএফ)। যা একদমই মনে ধরেনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের। সাফ জানিয়ে দিলেন দেখবেন না যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ম্যাচ।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলের স্বাভাবিক নিয়ম হলো জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান জানাবে। দেশটির রাগবি টুর্নামেন্টেও পালন করা হয় এই নিয়ম। তবে ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে এ নিয়মের পরিবর্তন এনেছে ইউএসএসএফ।
এখন থেকে ফুটবল লিগে জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় হাঁটু গেড়ে বসবেন খেলোয়াড়রা। যা ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ হিসেবেই ঠিক করা হয়েছে। ২০১৭ সালে এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে এখন আবার ভোটাভুটির মাধ্যমে ৬০৪-১ ভোটে জিতেছে হাঁটু গেড়ে বসার সিদ্ধান্ত।
রিপাবলিকান দলের কংগ্রেস সদস্য ম্যাট গায়েৎজ এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, ‘জাতীয় সঙ্গীতের সময় দাঁড়িয়ে থাকে না, এমন ফুটবল দলের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দল না থাকাই ভালো। জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় না দাঁড়ালে আমাদের পতাকাতলে জাতীয় দলের হয়ে খেলা অনুচিত।’
গায়েৎজের টুইট রি-টুইট করেন ট্রাম্প, ‘আমিও আর দেখব না।’ রিপাবলিকান সদস্য জিম জর্ডানের টুইটও রি-টুইট করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট লেখেন, ‘মনে হচ্ছে এনএফএলও একই পথে যাচ্ছে। তবে আমাকে ওরা সঙ্গে পাচ্ছে না।’
২০১৬ সালে এনএফএল কোয়ার্টারব্যাক কলিন কায়েপেরনিক কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বর্ণবাদ ও বৈষম্যের প্রতিবাদ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় হাঁটু গেড়ে বসেছিলেন। পরের বছর যুক্তরাস্ট্রের নারী ফুটবলার মেগান র্যাপিনো জাতীয় দলের ম্যাচে জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় একইভাবে হাঁটু গেড়ে বসেন কায়েপেরনিকের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে।
যুক্তরাস্ট্রের পতাকা ও দেশের প্রতি বিষয়টি অসম্মানজনক বলে তখন এর তুমুল সমালোচনা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই হাঁটু গেড়ে বসা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।