ক্রীড়া ডেস্ক
সামনের মাসেই বয়স ছত্রিশ পূর্ণ করবেন মোহাম্মদ আশরাফুল। সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন সাত বছর আগে, ২০১৩ সালের মে মাসে। দীর্ঘ বিরতি পড়লেও বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামার ইচ্ছে মরে যায়নি তার। ফের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতে আরও তিন-চার বছর লড়াই চালিয়ে যেতে চান আশরাফুল। সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান মনে করেন, ফিটনেস ঠিক থাকলে একজন ব্যাটসম্যানের পক্ষে চল্লিশ বছর বয়সেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা সম্ভব। উদাহরণ টেনে আশরাফুল বললেন, ‘শোয়েব মালিকের কথা যদি ধরেন, ১৯৯৯ সালে ডেব্যু হয়েছিল, এখনো খেলছে। তার সাথের অনেকেই কোচ-নির্বাচক হয়ে গেছে। যেহেতু আমি খুব অল্প বয়সে, ১৭ বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেছি, আর যেহেতু আমি ব্যাটসম্যান, আরও তিন-চার বছর অপেক্ষা করব জাতীয় দলে ফিরতে।’
ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের ইউটিউব লাইভ ‘নট আউট নোমান’য়ে সোমবার রাতে অতিথি হয়ে এসেছিলেন আশরাফুল। ৩৬ ছুঁইছুঁই এ ক্রিকেটারের কাছে সঞ্চালক জানতে চান জাতীয় দলে খেলার আশা আর কতদিন জিইয়ে রাখবেন।
আশরাফুল বলেন, ‘ফিটনেস ঠিক থাকলে আরও ৩-৪ বছর চেষ্টা করব। যেহেতু আমি ব্যাটসম্যান, আর বিশ্ব ক্রিকেটের সবাইকে তো দেখছি, চল্লিশের পরও অনেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে।’
২০১৮ সালের আগস্টে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরেই আশরাফুল জানিয়েছিলেন, খেলতে চান ২০১৯ বিশ্বকাপে। জাতীয় দলে ফেরার পথ যে কতটা কঠিন সেটি অনুধাবন করেছেন পরে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করলেও অন্যদের সরিয়ে দলে ডাক পাওয়ার মতো আহামরি কিছু করতে পারেননি তিনি। তারপরও হাল ছাড়তে নারাজ বাংলাদেশের অনেক জয়ের নায়ক আশরাফুল। শরীর থেকে মেদ ঝরিয়ে আগের মতো হালকা-পাতলা গড়নের হয়ে গেছেন। দেশের হয়ে আবার মাঠে নামতে তিনি যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, সেটি বোঝা যায় ফিটনেস দেখেই। যদি অদম্য ইচ্ছার কাছে হার মানে কঠিন বাস্তবতা, তাহলে প্রত্যাবর্তনটা হতে পারে টেস্ট ক্রিকেট দিয়েই, এমন মনে করেন আশরাফুল।
‘যেহেতু বয়স ৩৫ পেরিয়ে গেছে, লংগার ভার্সন ক্রিকেটই বেশি সম্ভাবনা। যদি ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ভালো খেলতে পারি, যদি প্রচুর রান করতে পারি, হয়ত টেস্ট ক্রিকেট দিয়েই ফেরার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।’
চল্লিশেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্ভব: আশরাফুল
আগের পোস্ট