নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্বব্যাপী প্রাণসংহারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বেড়েই চলছে দেশে। ইতিমধ্যেই সংক্রমণ লাখ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সে সংখ্যা আরও বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ২৪০ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ১ লাখ ৮ হাজার ৭৭৫ জন। এ সময়ের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৭ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু ১ হাজার ৪২৫ জনের। আর নতুন সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৮ জন। শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৭৭৯টি নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৩১টি, যাতে ৩ হাজার ২৪০ জন শনাক্ত হন। এর আগে গত ১৭ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৯২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে একদিনে সর্বোচ্চ ১৭ হাজার ৫২৭টির পরীক্ষায় ৪ হাজার ৮ জন শনাক্তের কথা জানানো হয়েছিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরই এখন বাংলাদেশ। চীনকে ছাড়িয়েছে এ তিনটি দেশই। এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৫৭৯ জনের করোনা পরীক্ষা করে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৮ হাজার ৭৭৫ জনে। এর ফলে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কানাডাকে পেছনে ফেলে ১৭তম। আর এশিয়ার ৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। এর আগে রয়েছে ভারত, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান ও সৌদি আরব।
নাসিমা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩৭ জন। গত ১৬ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৫৩ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে মোট মৃত্যু ১ হাজার ৪২৫ জনের। নাসিমা আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতাল মিলিয়ে নতুন সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৮ জন। এ নিয়ে মোট ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন সুস্থ হয়েছেন। ব্রিফিংয়ে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন অধ্যাপক নাসিমা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনা মোকাবিলায় তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করতে হবে। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাওয়া ও ফুসফুসের ব্যায়াম করা। এ সময় ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। কারণ, এটি ফুসফুসের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।