নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদেরকে সমাজের দুস্থ, অসহায় ও রোগাক্রান্ত সমস্যাগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। বৈশি^ক মহামারি করোনা ও বন্যাদুর্গত মানুষের সেবায় নিয়োজিত হতে হবে। সকলকে প্রকৃত সেবাধর্মে উদ্দীপিত হতে হবে। গতকাল সোমবার গজারিয়া উপজেলার কলিমুল্লাহ বিশ^বিদ্যালয় কলেজ মিলনায়তনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রেফায়েতুল্লাহ্ খান তোতা, ডা. মাজহারুল হক তপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল-মাহমুদ বাবু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকী খোকন, সারোয়ার আহমেদ ফরায়েজী, ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাইদ হোসেন লিটু, মনিরুল হক মিঠু, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, সোলাইমান হোসেন সরকার, সাগর, শাহে আলম প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই পঞ্চাশের দশকে এদেশের মানুষের কল্যাণে, মানবসেবাকে আরও অধিকতর কার্যকর করতে আওয়ামী লীগের আদর্শে উদ্বুদ্ধ কর্মীদের নিয়ে একটি শক্তিশালী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়ে তোলেন। তারই ধারাবাহিকতায় সময়ের প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ৯০’এর দশকের মধ্যভাগে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ’ নামে একটি স্বতন্ত্র সংগঠন গড়ে তোলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের সুমহান মুক্তিযুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আধুনিক উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, আমি স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনে কাজ করা অত্যন্ত গৌরব ও সম্মানের বিষয়। এজন্য সকলকে প্রকৃত সেবাধর্মে উদ্দীপিত হতে হবে। দুস্থ, দারিদ্র্য, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, রোগাক্রান্ত, সমস্যাগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্বিপাকে মানুষ যখন বিধ্বস্ত তখন তাদের পাশে গিয়ে সেবার কোমল হাত প্রসারিত করে দেওয়া মানুষ হিসেবেই আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। বন্যার্ত, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত, দুর্ভিক্ষপীড়িতদের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। বৈশি^ক মহামারি করোনা ও বন্যা দুর্গত সমস্যাগ্রস্থ মানুষের সেবায় নিয়োজিত হতে হবে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন ও কল্যাণের নতুন দর্শন হিসেবে স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে সমাজের সার্বিক উন্নতি সাধন করা সম্ভব। স্বেচ্ছাশ্রমে মানুষের কর্মবিমুখতা দূর হয়ে যায়। সচেতনতায় জাগ্রত হয় জাতি। সাম্প্রদায়িক হানাহানি ও বিচ্ছিন্নতা দূর করে সামাজিক সম্প্রীতি ও সংহতি বিনির্মাণে স্বেচ্ছাশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। বস্তুতপক্ষে স্বেচ্ছাশ্রম মহৎ লক্ষ্য অর্জনের কার্যকর একটি হাতিয়ার।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের সমাজের দুস্থ, অসহায় ও রোগাক্রান্ত সমস্যাগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে – অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি
আগের পোস্ট