মিরকাদিম পৌরসভায় ১৭টি স্থানে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও গণভোজে অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সারা জীবনের কর্ম, ত্যাগ ও সংগ্রামের পরিফল আমাদের এই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র। তিনি বাংলার মানুষকে দিয়েছেন একটি স্বাধীন ভূখন্ড, একটি পতাকা, একটি মানচিত্র, জাতীয় সংগীত, সংবিধান, বিশ্বের বুকে গর্বিত পরিচয়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার ১৭টি স্থানে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও গণভোজে অংশগ্রহণ করে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান বাসু, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মুনসুর আহমেদ কালাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমান, গোলাম রসুল সিরাজী রোমান, পৌর কাউন্সিলর জলিল মাদবর, রহিম বাদশা, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান শরীফ, সদর থানা কৃষক লীগ সভাপতি পিয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আপন দাস পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সেকান্দার হোসেন, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি খালেদ মাহমুদ রকি প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মুক্তির ইতিহাসÑ স্বাধীনতার ইতিহাস। বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের এই ধারাবাহিক সংগ্রামে জীবনের ৪ হাজার ৬৭৫ দিন জেলে কাটিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কয়েকবার ফাঁসির কাষ্ঠের মুখোমুখি হয়েছেন। অসংখ্য মিথ্যা মামলায় অসংখ্যবার কারাবরণ করার পরও স্বাধীনতা অর্জনের প্রশ্নে আপোষ করেননি। তিনি বাংলার মানুষকে দিয়েছেন একটি স্বাধীন ভূখন্ড, একটি পতাকা, একটি মানচিত্র, জাতীয় সংগীত, সংবিধান, বিশ্বের বুকে গর্বিত পরিচয়।
তিনি বলেন, বাংলা, বাঙালি ও বঙ্গবন্ধু একই বৃন্তে তিনটি চেতনার ফুল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে গরিব-দুঃখী-মেহনতী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। তিনি জেল-জুলুম-হুলিয়া, শত যন্ত্রণা, দুঃখ-কষ্ট-বেদনাকে সহ্য করে বাংলার কৃষক-শ্রমিক জনতার মুখে হাসি ফোটাতে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের মাঝে বঙ্গবন্ধু চিরদিন অম্লান থাকবেন এবং বাংলার জনতার হৃদয়ে চিরভাস্বর হয়ে থাকবেন। যে নাম শেখ মুজিবুর রহমান Ñ সে নামের সাথে মিশে আছে বাংলা, বাঙালি আর বাংলাদেশ। তাঁর নাম অক্ষয়, অমর, অব্যয় হিসেবে চিরভাস্বর থাকবেন প্রিয় মাতৃভূমির গণমানুষের হৃদয়ের গভীরে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরন্তন সংগ্রাম করে চলেছেন। আপনারা প্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন তিনি যেন দীর্ঘায়ু লাভ করেন। তিনি যেন দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থেকে আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হন।