নিজস্ব প্রতিবেদক
মিরকাদিমের সেতুর দুই পাশের রেলিং ভেঙ্গে গেছে অনেক বছর ধরে। আর এই ভাঙ্গা রেলিংয়ের ওপর দিয়েই মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে প্রতিদিন অনেকই। তাতে বিষয়টি এখানে বিপদজনক হয়ে উঠছে। সেতুর দুই পাশের অনেক স্থানে বর্তমানে রেলিং নেই। ফলে এ সেতুতে উঠতে গেলে যেকোন সময় যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। জরুরী ভিত্তিতে এই সেতুর রেলিং মেরামত প্রয়োজন। সেতুটি প্রধান রাস্তা থেকে অনেকটাই উঁচুতে। পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকের এ সেতুতে উত্তর দক্ষিণের একটি রাস্তা রয়েছে সেতুতে উঠার জন্য। রাস্তাটি সেতুতে ইউটার্ন নেয়ার সময়ে সেতুর রেলিং বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে কোন কোন সময় যানবাহনের। সেই সময়ে দুর্ঘটনায় পতিত হতে পারে যেকোন যানবাহন। এই সেতুর পশ্চিম দিকের রাস্তায় রয়েছে এক সময়ের আয়না সিনেমা হল। আর পূর্বদিকে রয়েছে মিনার্ভা সিনেমা হল। এ দুটি সিনেমা হলকে সামনে রেখে এখানে একসময় এ খালের ওপর পাকা সেতু নির্মিত হয়। এর আগে পাকিস্তান আমলে এখানে লোহার সেতু নির্মিত হয়েছিলো। কিন্তু একসময় লোহার সেতুতে মরিচা পড়ায় সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপরই এখানে পাকা সেতু নির্মিত হয়। এখানে সেতু নির্মিত হওয়ার আরো একটি কারণ রয়েছে। এ সেতু দিয়ে খুব সহজেই মিরকাদিম বাণিজ্যিক বন্দরে যাওয়া যায়। ব্রিটিশ আমলে এই মিরকাদিম বাণিজ্যিক বন্দরের ভারতবর্ষে ব্যাপক পরিচিতি ছিলো। এখান থেকে একসময় কলিকাতা যাওয়ার জন্য রাজবাড়ির গোয়ালন্দের স্টিমার এখান থেকেই ছেড়ে যেতো বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেছেন। সেই কারণে এই সেতুটির গুরুত্ব রয়েছে অনেকের কাছে। কিন্তু বর্তমানে মিরকাদিম বন্দরের সেই বাণিজ্যিক ব্যবসা এখন আর নেই। বর্তমানে সেতুটি এখন আর সেইভাবে অনেকেই ব্যবহার করছেন না বলে জানা গেছে। তাছাড়া সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এখানকার সিনেমা হলটি বন্ধ হয়ে গেছে। একসময় সিনেমা হলের কারণে এখানে মানুষ গম গম করতো। কিন্তু এখন সেই দিন আর নেই। এ সেতুর ওপর থেকে কিশোররা প্রতিদিন লাফিয়ে পড়ে খালের নিচের পানিতে। তারা এখানে প্রতিদিন এভাবেই আনন্দ উপভোগ করে থাকে। সবকিছু মিলিয়ে এ সেতুর রেলিং মেরামত খুবই জরুরি।