নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আগামী প্রজন্মের কাছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ তুলে ধরে তাদের হৃদয়ে দেশপ্রেমের বহ্নিশিখা প্রজ্জ্বলিত করতে হবে।
গতকাল শুক্রবার গজারিয়ার ইসমানিরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, হাফিজ আহমেদ, মো. শফিউল্লাহ, মুন্সীগঞ্জের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ আরফিন, আতাউর রহমান নেকী খোকন, খাদিজা আক্তার আঁখি, মনিরুল হক মিঠু, ইঞ্জিনিয়ার সাঈদ হোসেন লিটু, আবু তালেব ভূইয়া, আ. মতিন মন্টু, তানিজ আহমেদ প্রমুখ। বক্তৃতার শুরুতেই অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জাতিগত চেতনার আদর্শ পুরুষ। তিনি বাঙালি জাতির স্বাধীনতা নামক মহাকাব্যের মহানায়ক। পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্তির মহান পথ প্রদর্শক। আবহমান বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ। তিনি বাঙালির অসীম সাহসিকতার প্রতীক। সমগ্র বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বীর। তিনি বিশ্বের শোষিত ও মুক্তিকামী মানুষের অকৃত্রিম সুহৃদ, বৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াকু বীরসেনানী, জোট-নিরপেক্ষ তৃতীয় বিশ্বের অনন্য প্রবক্তা নিরস্ত্রীকরণে বিশ্বাসী শান্তির দূত, আমাদের অন্তহীন প্রেরণার উৎস, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, বাঙালি জাতির বিমূর্ত ইতিহাস, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নদ্রষ্টা।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন একজন বিশ^বরেণ্য নেতা ছিলেন- যাঁর নেতৃত্ব, সাহস, সততা, দক্ষতা, কৌশল, দূরদর্শীতা, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী সমসাময়িক বিশ^ নেতৃবৃন্দকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। তিনি ছিলেন বিশ্ব মুক্তিকামী মানুষের অন্যতম পথিকৃৎ, অকৃত্রিম সুহৃদ, নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের জাগরণের অনুপ্রেরণা, সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ উপনিবেশবাদ, নয়া উপনিবেশবাদ ও বর্ণ বৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াকু বীরসেনানী, জোট-নিরপেক্ষ তৃতীয় বিশ্বের অনন্য প্রবক্তা নিরস্ত্রীকরণে বিশ্বাসী শান্তির দূত, জুলি ও কুরি পদক বিজয়ী শান্তি সংগ্রামী। তিনি হয়ে উঠেছিলেন বিশে^র লাঞ্চিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত-শোষিত মানুষের মুখপাত্র।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর যেখানেই গেছেন সেখানেই বিশ^ নেতৃবৃন্দের মাঝে শত নক্ষত্রের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র হয়ে উঠেছিলেন। তিনি যখন ওআইসি, জোট নিরপেক্ষ সম্মেলন, জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন, বিশ^ শান্তি পরিষদ, কমনওয়েলথসহ বিশ^সভায় উপস্থিত হতেন, ইতিহাস খ্যাত তৎকালীন সময়ের রিচার্ড নিক্সন, লিওনিফ ব্রেজনেভ, ফিদলকাস্ত্রে, ইন্দিরা গান্ধি, আনোয়ার সাদাত, ইয়াসির আরাফাত, বাদশা ফয়সাল, হুয়ারিবুমেদিন, এডওয়ার্ড হিথ, হ্যারল্ডউইলসন, নিকোলাই পদগোর্নি, উইলিব্রান্ট, মার্শালটিটো’র মতো বিশ^ নেতৃবৃন্দের মাঝে বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রজ্ঞা তেজদীপ্ত নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের আলোকজ্জ্বল আভায় আসরের মধ্যমণি হয়ে উঠতেন।