শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে আন্ডার লোড
করে পাড়ি দিচ্ছে ফেরি, ঘাট এলাকায় যানজট
মাসুদ রানা : চলছে বর্ষা মৌসুম। নদী-নালা, খাল-বিলে পানিতে থৈ-থৈ করছে। পদ্মা নদীতে বইছে তীব্র স্রোত ও প্রবল ঢেউ। এর ফলে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। আন্ডার (অর্ধেক) লোড নিয়ে পাড়ি দিতে হচ্ছে ড্রাম, কে-টাইপ, ভিআইপি মাঝারি আকারের ফেরিগুলোকে। এতে শিমুলিয়াঘাট এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগে পড়ছে ট্রাক চালকেরা। এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পল্টনের সামনে পানি উঠার কারণে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল গাড়িগুলোর। ফেরিতে উঠা-নামার সময় পানিতে সমস্যা হওয়ায় বিআইডাব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা পল্টনটি উপড়ে উঠানোর জন্য কাজ করছে। উপর দিকে উঠিয়ে আনছে পানিতে ডুবে থাকা পল্টনগুলো। সে সাথে পল্টনের রাস্তারও মেরামতের কাজ করা হয়েছে।
বিআইডাব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাটের মেরিন ম্যানেজার আহমদ আলী মুন্সীগঞ্জের কাগজকে জানান, পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতেও আমাদের ফেরি চলছে। তবে স্রোত ও ঢেউয়ের কারণে বিশেষ করে রো-রো ফেরি বাদে ড্রাম ও কেটাইপ ফেরিগুলো আন্ডার (অর্ধেক) লোড করে পাড়ি দিতে হচ্ছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে বর্তমানে চলছে ১৩টি ফেরি। ২টি রো-রো ফেরি, ৫টি ড্রাম (টানা) ফেরি, ৪টি কে-টাইপ ফেরি ও ২টি ভিআইপি মাঝারি আকারের ফেরি চলছে। কর্ণফুলী ছোট আকারের ভিআইপি ফেরিটি বন্ধ রয়েছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের (টিআই প্রশাসন) হিলাল উদ্দিন জানান, বর্তমানে শিমুলিয়াঘাটে অবস্থা খুবই স্বাভাবিক। অল্প সংখ্যক কিছু গাড়ি রয়েছে। প্রায় সাড়ে ৩শত গাড়ি অপেক্ষমান রয়েছে এ ঘাটে। গত দুদিনের তুলনায় বেশ ভালো। তবে এ রোডের চালকরা বলছে ঈদকে সামনে রেখে
এ রোডে যানবাহনের চাপ ক্রমেই বাড়ছে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারনে ফেরীগুলো ধীরগতিতে চলায় ঘাট এলাকায় যান জটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় চলতে থাকলে ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।