নিজস্ব প্রতিবেদক
পদ্মা সেতুর ৮ ও ৯ নম্বর পিলারের (খুঁটি) ওপর বসানো হয়েছে ৩৫তম ‘টু-বিথ স্প্যান। ফলে এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো পদ্মার সেতুর ৫ হাজার ২৫০মিটার। পুরো সেতুতে এখন ছয়টি স্প্যান বসানো বাকি থাকলো। ৩৪ তম স্প্যান বসানোর সাতদিনের মাথায় বসানো হলো এই স্প্যানটি। মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে গতকাল শনিবার দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটের দিকে স্প্যান বসানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের।। এর আগে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ায় অবস্থিত কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডের স্টিলট্রাস জেটি থেকে স্প্যান সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই রওনা দেয়। প্রায় ৩২ মিনিটে কাক্সিক্ষত খুঁটির কাছে পৌঁছায়। পরে ৩ হাজার ৬০০ টন সক্ষমতার ক্রেনটি সফলভাবে বসানো হয়।
সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, নাব্যতা সংকটের কারণে গত শুক্রবার স্প্যানটি বসানো সম্ভব হয়নি। ভাসমান ক্রেনটি অন করার জন্য পর্যাপ্ত গভীরতা ছিলোনা নির্ধারিত খুঁটির কাছে। তাই গত শুক্রবার ড্রেজিং করে নাব্যতা সংকট নিরসন করা হয়।
অন্যদিকে পদ্মাসেতুতে বাকি রইলো ৬টি স্প্যান বসানো। ৪ নভেম্ব^র পিলার ২ ও ৩ নম্বরে ৩৬তম স্প্যান (১ স্প্যান ১-বি), ১১ নভেম্বর পিলার ৯ ও ১০ নম্বরে ৩৭তম স্প্যান (২ স্প্যান ২-সি), ১৬ নভেম্বর পিলার ১ ও ২ নম্বরে ৩৮ তম স্প্যান (স্প্যান ১-এ), ২৩ নম্বর পিলার ১০ ও ১১ নম্বরের ৩৯তম স্প্যান (স্প্যান ২-ডি), ২ ডিসেম্বর পিলার ১১ ও ১২ নম্বরে ৪০ তম স্প্যান (স্প্যান ২-ই) ও ১০ ডিসেম্বর সর্বশেষ ৪১ নম্বর স্প্যান (২ স্প্যান ২-এফ) বসবে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।