নিজস্ব প্রতিবেদক
অবশেষে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাত্রী পারাপারে আধুনিক নির্মিত নতুন পুল ও পল্টুন চালু হলো গতকাল রবিবার দুপুর তিনটার পর থেকে। একটি দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে অবশেষে এ পুলের নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে। কয়েক দিন ধরেই নির্মিত এ পুলে যাত্রীদের পারাপারের জন্য নির্মিত নতুন পুলটি খুলে দেয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছিলো। কিন্তু গতকাল রবিবার একটি দুর্ঘটনার জন্য অবশেষে এটি খুলে দেয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। গতকাল রবিবার দুপুর তিনটার দিকে পুরাতন প্রথম কাঠের পুলটি যাত্রী পারাপারের সময় হঠাৎ ভেঙ্গে পড়ে। এসময় অল্পের জন্য দুইজন ব্যক্তি প্রাণে বেঁচে যায়। প্রথম পুলটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর বিআইডব্লিউ টিএ এর কর্তাব্যক্তিরা এখানে ছুটে আসেন। এরপর থেকে এখানে এই ভেঙ্গে পড়া পুলটি অপসারণের কাজ শুরু হয়। তবে দিনের অর্ধেক সময়ের পর থেকে এখানে এর কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এর অপসারণের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়নি। আজ সোমবার নাগাদ এর কাজ শেষ হতে পারে বলে অনেকই মনে করছেন। মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনের উত্তাপে এ ঘটনাটি মিডিয়ার নজরের অন্তরালেই রয়ে যায় বলে অনেকেই মনে করছেন। এ দুর্ঘটনাটি না ঘটলে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হতো বলে এর ইজারাদার দীল মোহাম্মদ কোম্পানি জানিয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে অনেকেই এখানকার ঘাটের দিকে ছুটে আসছেন। এদিকে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। অনেকদিন আগ থেকে এখানে নতুন বড় আকারে উঁচু পল্টুন আনা হয়ে ছিলো। বড় এ পল্টুনে বরিশাল ও চাঁদপুরগামী বড় বড় লঞ্চ থামলে যাত্রীরা খুব সহজেই ওঠানামা করতে পারবে বলে যাত্রীরা দাবি করছেন। তবে নারায়ণগঞ্জগামী ছোট ছোট লঞ্চ এ পল্টুনে যাত্রী উঠানামাতে একটু অসুবিধা হবে বলে অনেকই মনে করছেন। এছাড়া কয়েক মাস লাগিয়ে কাঠের পুল সরিয়ে সেখানে নতুন আধুনিক স্টিলের পুল নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। আর সেই পুল যাত্রী সাধারণ ও লঞ্চ যাত্রীদের জন্য আজকের দিনে খুলে দেয়া হয়। এ ঘাটে ইতোপূর্বে পুরাতন দুটি কাঠের পুল ছিলো। একটি পুল আজ আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়া হয়েছে। অন্য পুলটি অবশেষে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। সেটি আবার নতুন করে ষ্টিলের জন্য মেরামত করা হবে বলে জানা গেছে। নতুন পুলে বৃষ্টির পানিতে কিংবা কুয়াশার পানিতে পিছলে পড়ার সম্ভাবনা নেই। এখানকার দায়িত্বরত ইজারাদার দীল মোহাম্মদ কোম্পানী জানান, মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালটি আধুনিকভাবে সাজানো হচ্ছে। বর্তমানে এটি প্রাথমিক ধাপের প্রক্রিয়া হিসেবে কাজ করানো হচ্ছে। এ ঘাটে ঝলমলে বাতির ব্যবস্থা করা হবে। সেই সময়ে অনেক দূর থেকে এ লঞ্চঘাটটি রাতের আঁধারেও দেখা যাবে বলে তিনি জানান। পুলের উপরে যে ছাউনি দেয়া হয়েছে তা এ পথের যাত্রী পারাপারে আলোতে আলোকিত করবে। এছাড়া সূর্যের আলোতে এ ছাউনি ছায়া হিসেবে থাকবে বলে দায়িত্বরত ইজারাদার দীল মোহাম্মদ কোম্পানী জানান। প্রথম দিনের এ পারাপারে যাত্রীরা মহা খুশি।