নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে লতব্দী ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইরন মোল্লার (৫৫) উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফেজ মো. ফজলুল হকের আর এফ এগ্রো ফিড প্রজেক্টের পশ্চিম পাশের একটি আলু ক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী কহিনুর বেগম চর নিমতলা গ্রামের মৃত লালচাঁনের ছেলে মোকারম, মৃত লতিফের ছেলে সালাহউদ্দিন, মো. ইসলামের ছেলে সোহেল, মৃত রুপচাঁনের ছেলে বিল্লাল, মোকারমের ছেলে ওবায়দুল, মৃত রহমানের ছেলে দিপু, লতিফের ছেলে মনা মিয়া ও লতিফের ছেলে আলাউদ্দিনদের বিবাদী করে সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার ভুক্তভোগীর শ্যালক মো. রফিকের সাথে চরনিমতলা গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল, ওবায়দুল ও ফায়েত নামে তিনজনের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরদিন সোমবার স্থানীয়ভাবে তাদের উভয়পক্ষকে মিলিয়ে দেওয়া হয়। সেসময় শ্যালক মো. রফিকের পক্ষে বোন জামাতা ইরন মোল্লা কথা বলার জেরে লতব্দী গ্রামস্থ আর এফ এগ্রো ফিড প্রজেক্টের পশ্চিম পাশের একটি আলু ক্ষেতের হালটে ইরন মোল্লাকে একা পেয়ে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চলিয়ে দুই পা এবং হাতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে দিপু, সোহল ও ওবায়দুলসহ ৫-৬ জন। এসময় ইরন মোল্লা ডাকচিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা গুরুতর দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার্ড করেন। সেখান থেকে চিকিৎসা দিয়ে বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে। ভুক্তভোগী ইরন মোল্লা বলেন, আমি ক্ষেতের উপর দিয়ে যাচ্ছিলাম। দূর থেকে দেখলাম কয়েকজন লোক আমার দিকে আসছে। আমি তাদের জিজ্ঞেস করলাম তোমরা কোথায় যাচ্ছো ? এ কথা বলার সাথে সাথে তারা আমাকে এলোপাথারিভাবে বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে পিটাতে থাকে। আমি একা বলে তাদের সাথে পারিনাই। পরে লোকজন এসে আমাকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়ীতে গিয়েও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সিরাজদিখান থানার এসআই মামুন থানায় লিখিত অভিযোগ গৃহীত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।