নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়ায় শাহআলম নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিহতের মা, বোন ও বোনজামাই তাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। আটকের ৯ ঘণ্টার মধ্যে এ হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করার দাবি করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সাদেক হোসেন সিকদার একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে নিহতের মা হামিদা বেগম, বোন নার্গিস আক্তার ও বোনজামাই সবুজ মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিহত শাহআলম উপজেলার টেঙ্গারচর ইউপির বৈদ্যারগাঁও গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। নিহতের বড় ভাই সাদেক হোসেন সিকদার বলেন, ছোট ভাই শাহআলম মাকে ভালোভাবে চলাফেরা করার পরামর্শ দিতো যা মায়ের ভালো লাগতো না। ছোট বোন নার্গিস বিয়ের পর স্বামী নিয়ে আমাদের বাড়িতে থাকতো। সম্প্রতি শাহআলম তার স্বামী এবং তাকে শ্বশুরবাড়িতে চলে যেতে বলায় তারা তিনজন শাহআলমের ওপর ক্ষীপ্ত ছিল। গত শুক্রবার রাতে তারা ধারালো ছুরির আঘাতে ভাইকে হত্যা করে সেটাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। গজারিয়া থানার এসআই আনিসুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে গত শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ বাড়ির মেঝেতে দেখতে পাই। স্বজনদের দাবি রাত পৌনে একটার দিকে নেশার টাকা জোগাড় করতে না পেরে নিজের মাথায় ও হাতে ধারালো ছুরি ও ব্লেড দিয়ে আঘাত করে শাহআলম। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
গজারিয়া থানার ওসি মো. রইছ উদ্দিন জানান, বিষয়টি নিছক আত্মহত্যা নয় এটি প্রথম থেকে সন্দেহ হয়। সকালে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের মা, বোন, বোন জামাই ও বড় ভাইকে আটক করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে মা, বোন এবং বোনজামাই শাহআলমকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।