নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মুজিববর্ষের তোরণ পুনঃস্থাপনকে কেন্দ্র করে আওয়মী লীগের ২ গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের কেয়টখালী এলাকার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোঃ আজিজুল ইসলাম মুজিববর্ষ উপলক্ষে কেয়টখালী ডাক্তার রোডের মাথায় তোরণ নির্মাণ করে। গত রবিবার রাতের ঝড়ে তোরণটি ভেঙ্গে যায়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আজিজুল ইসলামের লোকজন পুনরায় তোরণটি নির্মাণ শুরু করে। এসময় সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ও উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী পরাজিত প্রার্থী মোঃ জাকির হোসেনের লোকজন বাধা প্রদান করে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খবর পেয়ে আজিজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এসময় জাকির হোসেন পক্ষের লোক হিসাবে পরিচিত ষোলঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুল ইসলাম উজ্জ্বল এসে তোরণটি নির্মাণের জন্য বললে তোরণ নির্মাণ শুরু হয়। আজিজুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে ওই এলাকা থেকে চলে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে জাকির হোসেন লোকজন নিয়ে এসে তোরণ নির্মাণে বাধা প্রদান করেন। এসময় তার লোকজন হকিস্টিকসহ হাজির হলে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আজিজুল ইসলামের লোকজন এসে মুুখোমুখী অবস্থান নেয়। এসময় দুগ্রুপের মধ্যে তর্ক বিতর্কের পর দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুধু হয়। এতে উভয়পক্ষের ৫/৭ জন আহত হয়। খবর পেয়ে শ্রীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে মোঃ জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে জিজ্ঞেস না করে আমার জায়গায় তোরণ নির্মাণ করায় আমি বাঁধা দিয়েছি।
ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুল ইসলাম বলেন, তোরণটি নির্মাণ করা হচ্ছিল সরকারী রাস্তায়। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলার পর জাকির হোসেন পক্ষের লোক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম উজ্জ্বল তা ফয়সালা করে দেন। তারপরও পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য জাকির হোসেন নিজে উপস্থিত হয়ে তোরণ নির্মাণে বাঁধা প্রদান করেন ও তার নির্দেশে আমার লোকজনের উপর হামলা হয়। শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। দু’পক্ষকেই আপাতত তোরণ নির্মাণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।