নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের উত্তর কাজী কসবা এলাকায় প্লাস্টিকের মাদুর কারখানায় চাঁদা চাওয়ায় তিন চাঁদাবাজকে গণধোলাই দিয়েছে কারখানার মালিক ও কর্মচারীরা। এর মধ্যে গণধোলাইয়ের শিকার মাসুদ রানাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের কেবিনে রয়েছে। মাসুদ রানা পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী গোলাম মোস্তফার খুবই ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি।
জানা যায়, ঘটনার দিন কারখানায় পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা চায় তারা তিনজন। আর এ কারণে তাদের তিনজনকে গণধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারখানার মালিক মিল্লাত।
উত্তর কাজী কসবা প্লাস্টিকের কারখানায় গত শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। চাঁদা চাইতে যারা এসেছিলো তাদের নাম হচ্ছে মাসুদ রানা, জসিম ও শওকত। দু’টি মোটরসাইকেল নিয়ে তারা চাঁদা দাবি করতে এসেছিলো বলে জানান তিনি।
এদিকে চাঁদা চাওয়ার ঘটনায় কারখানার মালিক কোন ধরণের আইনের আশ্রয় না নেয়ায় বিষয়টি রহস্যজনক হয়ে উঠেছে বলে অনেকেই মনে করছেন। একাধিক সূত্র বলছে, সেদিন সেখানে অন্য ধরণের ঘটনা ঘটেছিল। অথচ কারখানার মালিক ঘটনা ধামাচাপা দিতে এখানে চাঁদাবাজির ঘটনার নাটক সাজিয়েছেন বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করছেন। অথচ পুলিশ এখান থেকে দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। সেই হিসেবে এখানকার বিষয় নিয়ে মামলা হওয়ার কথা। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে হাতিমারা ফাঁড়ির এস. আই শ্রীবাস।
কারখানার মালিক মিল্লাত জানান, উত্তর কাজী কসবা প্লাস্টিকের কারখানা তৈরি করার জন্য সেট তৈরির কাজ শুরু করেছি। এখানে এসে তিনজন লোক মোটরসাইকেলে এসে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা চায়। পরে তাদেরকে শ্রমিকরা গণধোলাই দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। এসময় তারা দু’টি মোটর সাইকেল রেখে পালিয়ে গেছে।
পরে বিষয়টি রামপাল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও হাতিমারা ফাঁড়ির ইনচার্জকে জানিয়েছি। মোটর সাইকেল দু’টি হাতিমারা ফাঁড়ির পুলিশ নিয়ে গেছে। মালিক আরো জানান, লেবারদের কাছে তারা বলেছে পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ম্যানেজার সে। তাদের চাঁদা না দিয়ে কোনো কারখানা তৈরি করা যাবে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাসুদ রানা ও শওকতসহ দু’জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ফোন করে কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে হাতিমারা ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নাসির জানান, পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার বিষয়ের কোনো অভিযোগ আসেনি।
হাতিমারা ফাঁড়ির এস.আই শ্রীবাস জানান, উত্তর কাজী কসবা ঘটনাস্থল থেকে দু’টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। লিখিত অভিযোগের জন্য সদর থানায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল জানান, ঘটনাটি জানি না। আপনার মাধ্যমে জানলাম। বিষয়টি দেখবো।