নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়ায় করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন শুরুর আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে প্রভাব পড়েছে। একদিনের ব্যবধানে প্রতিটি পণ্যের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে গেছে। গতকাল রবিবার উপজেলার ভবেরচর বাজার, ভাটেরচর বাজার, হোসেন্দী বাজার, সোনালী মার্কেট, রসূলপুর, তেতৈতলা মেঘনা ঘাট বাজার, জামালদী বাসস্ট্যান্ডের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। বিক্রেতারা বলছেন, দুই কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। ১. কঠোর লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে। ২. বাইরে থেকে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেছে। এ ব্যাপারে ভবেরচর বাজারের দোকানদার মনির হোসেন জানান, লকডাউনের ঘোষণায় বিক্রি বেড়েছে। তবে পণ্যের দাম তেমন একটা বাড়েনি। যেটুকু বেড়েছে তা সরবরাহ কম থাকার জন্য। অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন, কঠোর লকডাউন ঘোষণা করায় ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। চাহিদা হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়ায় এমনটি করছেন তারা। তেতৈতলা মেঘনা ঘাটে বাজার করতে আসা আনোয়ার সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর কর্মচারী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কাঁচামালের সবকিছুর দাম বেড়েছে। কাঁচামরিচ গতকাল ছিল ৩০ টাকা আজ ৪০ টাকা কেজি, ধনেপাতা ১০০ গ্রাম ২০ টাকা ছিল সেটা আজ ৩০ টাকা। এছাড়াও পটল, ধুন্দল, বিভিন্ন ধরনের শাক আজ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে এই বাজারে দাম বেড়ে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৪০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৬০ টাকা, কালো বেগুন ৬০ টাকা, সাদা বেগুন ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি শশা ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা এবং আলু ৩০ টাকায় এবং লাউ প্রতিপিস ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার ১৭০ টাকা, গরু ৬০০ টাকা, লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। মাছের বাজারে রুই, কাতল, শিং, মাগুর, পাবদা, চিংড়িসহ সব ধরনের মাছের দাম গতকালের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে মসলার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এলাচ ২৮০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা, দারুচিনি ৫০০ েেকে ৭০০ টাকা, আদা ১৪০, রসুন ৭০ থেকে ১৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর গজারিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি এএসএম নাসির উদ্দীন বলেন, আমরাও বিষয়টি মনিটরিং করছি। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় কোন দুর্যোগ দেখা দিলে আমাদের দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের মধ্যে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যায়। আমরা মনিটরিং করছি। কিন্তু জনবল কম থাকায় প্রতিদিন জেলার প্রতিটি উপজেলায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
গজারিয়ায় কঠোর লকডাউন ঘোষণায় প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে
আগের পোস্ট