নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে সরকারী কাজ দেওয়ার কথা বলে উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়নের কতিপয় যুবকদের দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলে সেই একাউন্টের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আউটশাহী ইউনিয়নের দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী আউটশাহী ও বলই গ্রামের ৩ যুবক ইসমাঈল শেখ (৩০), আল-আমিন ঢালী (৩২) ও করিম মোল্লা (৩০) গতকাল বুধবার বিকালে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী যুবকেরা জানান, বিগত প্রায় ৩ বছর আগে আউটশাহী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার শিপন শেখ আমাদের ৫ জনকে বলে তোদের সরকারী কাজ দিবো এর জন্য ব্যাংকে একাউন্ট করতে হবে। আমরা তার কথায় ছবি ও ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে গিয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সুবচনী বাজারের জনতা ব্যাংকের শাখায় একাউন্ট খুলি। একাউন্ট খোলার সময় সে আমাদের দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে চেক বই নিজের কাছে রেখে দেয়। পরে গত ২০ জুন আমাদের মোবাইলে ম্যাসেজ আসে আমাদের একাউন্টে ৩৮০০ করে টাকা আসছে। পরে গত ২৭ জুন তারিখে আমরা টাকার খোঁজ নিতে গেলে ব্যাংকের লোকজন আমাদের বলে আমাদের টাকা তুলে নিয়ে গেছে। আমরা এসময় কে তুলেছে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে মেম্বার তুলে নিয়ে গেছে। পরে আমরা এলাকায় এসে আমাদের মেম্বার শিপন শেখকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে জব্বার মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করতে। জব্বার মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করলে সে বলে সে টাকা তুলে আনছে। এসময় আমাদের একাউন্টের টাকা তুলে নেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে বলে অন্য লোক দিয়ে কাজ করাইছি ওই টাকা তুলে তাদের দিয়ে দিয়েছি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী যুবকেরা আরো জানায়, আমাদের দিয়ে কাজ না করিয়ে আমাদের নামের টাকা তুলে নিয়েছে মেম্বার। এখন জব্বার মেম্বার আমাদের একাউন্ট বই আটকে রেখেছে আমাদের দিচ্ছেনা। শিপন মেম্বার আমাদের হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিপন শেখ বলেন, আমি হতদরিদ্র প্রজেক্টের জন্য আমার এলাকার ৫ জনকে দিয়ে হিসাব খুলেছিলাম। ওদের টাকা কে তুলে নিয়েছে ব্যাংকে যোগযোগ করলে ভালো বলতে পারবে। স্বাক্ষর নিয়ে চেক বই নিজের কাছে রেখে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলে এ ব্যাপারে জব্বার মেম্বার ভালো বলতে পারবে। এ ব্যাপারে জব্বার মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করলে সে বলে, সরকারী রাস্তার কাজ করানোর জন্য ওদের নামে একাউন্ট খোলা হয়েছিলো। পরে চাষিরী বটতলা হতে ভোরন্ডা পর্যন্ত রাস্তার কাজ আসলে অন্য লেবার দিয়ে কাজ করিয়েছি। যাদের দিয়ে কাজ করিয়েছি টাকাও তাদের দিয়ে দিয়েছি।