নিজস্ব প্রতিবেদক
গত কয়েকদিনের বৃষ্টির জলে ভাসছে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার পুরান বাউশিয়ার সরকার মোহাম্মদ আলী সড়কটি। বাউশিয়ার বিভিন্ন এলাকার অলিগলি সামনের রাস্তায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানির সঙ্গে বাসাবাড়ির ময়লা পানি মিশে একাকার হয়ে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে। গত কয়েকদিন আকাশ জুড়ে মেঘ ও পরবর্তীতে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল ও যানবাহনের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়। কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে যারা ঘরের বাইরে বের হয়েছেন বিভিন্ন রাস্তায় জলাবদ্ধতার কারণে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। গতকাল রবিবার সরেজমিনে পুরান বাউশিয়া গ্রামের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সরকার মোহাম্মদ আলী সড়কের অধিকাংশ স্থানে খানা খন্দে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে তাঁতীবাড়ি নামক স্থানটির সড়কটির বেহাল অবস্থা হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই এই স্থানটিতে পানি জমে একাকার হয়ে যায়। রাস্তার দু’পাশে বাসাবাড়ি থাকায় রাস্তায় জমে থাকা পানি সরতে পারছে না। ফলে তাঁতীবাড়ির সামনের রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় সবসময়। এই স্থান দিয়ে গাড়ি ও মানুষ চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই রাস্তার দু’পাশে আগে ছিলো খাল, রাস্তার পানি খালে সরে যেতে পারত। বর্তমানে রাস্তার দু’পাশে খালগুলো ভরাট করে বাড়িঘর তৈরি করার ফলে রাস্তার পানি অন্য কোথাও সরে যেতে পারছে না। শুধু তাই নয়, বাসাবাড়ির পানিও রাস্তায় আসছে। জলাবদ্ধতা দেখে জরুরী প্রয়োজনে আসা গাড়িগুলো উল্টোদিকে যেতে দেখা যায়।
এই এলাকার বাসিন্দা রাসেল জানান, তিনি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। প্রতিদিন এ পথে যান। বৃষ্টি হলেই এখানে পানি জমে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা করলে এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে পানি জমতো না। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মেলে না। রাস্তায় জলাবদ্ধতার ফলে যান চলাচল ব্যাহত হয়। সড়কে জলাবদ্ধতা বিষয়ে বাউশিয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রধান বলেন, আষাঢ়ের বৃষ্টিতে এই ইউনিয়নের বেশ কিছু রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। পুরান বাউশিয়ার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির দু’পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলে সড়কটিতে পানি জমে থাকে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই সড়কটির পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হবে সেলক্ষ্যেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। আশা করছি, উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে রাস্তার পাশে ড্রেনের কাজ করা হবে। লকডাউনের কারণে অনেক উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।