নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন- বাঙালীর দুঃখজয়ের স্বপ্ন-সারথী, বিশ^বরেণ্য মানবিক প্রধানমন্ত্রী ও সফল রাষ্ট্র নায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননত্রেী শেখ হাসিনার বাংলায় কেউ গৃহহীন থাকবে না। তিনি বাংলার মানুষের ভাগ্য-উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে চলেছেন।
গতকাল শনিবার গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি, ইমামপুর, গজারিয়া ও ভবেরচর ইউনিয়নে গৃহহীনদের জন্য গৃহনির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন এবং সেখানে বসবাসরত মানুষের মধ্যে খাদ্য সহায়তা বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের গৃহহীনদের গৃহ প্রদান প্রকল্পের অধিকতর উন্নয়নে ১০ লাখ টাকা এবং ভবেরচর ইউনিয়নের ভিটিকান্দিতে গৃহীনদের গৃহ প্রদান প্রকল্পের অধিকতর উন্নয়নে ৪ লাখ টাকা বিশেষ বরাদ্দ প্রদানের ঘোষণা দেন।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাজীবন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে তথা দারিদ্র্য বিমোচন ও বাংলার জনগণের জীবন মানোন্নয়নের মধ্য দিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের সকল গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে গৃহ প্রদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। বাঙালীর দুঃখজয়ের স্বপ্ন-সারথী, বিশ^বরেণ্য মানবিক প্রধানমন্ত্রী ও সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননত্রেী শেখ হাসিনার বাংলায় কেউ গৃহহীন থাকবে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনন্য মানবিকতার এই উপহার এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় একগুচ্ছ সহায়তা প্রদান কার্যক্রমের ফলে দারিদ্র্যসীমায় বসবাসকারী বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ পরিবার অর্থনৈতিক অগ্রগতির মিছিলে শামিল হওয়ার সুযোগ লাভ করছে। তিনি বাংলার মানুষের ভাগ্য-উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেনÑ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে চলেছেন। তাই তিনি ঘোষণা করেছেন ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কেউ গৃহহীন থাকবে নাÑ কেউ না খেয়ে কষ্ট পাবে না।’
তিনি বলেন, নাগরিকের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে সরকার প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার গৃহহীন মানুষকে মানুষকে বাড়ি উপহার দিয়েছেন। প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার বাড়ির মধ্যে ২৪টি স্থানের নির্মাণ কাজের ত্রুটি গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। যা বাস্তবায়িত প্রকল্পের ০.২৫ ভাগ। ত্রুটিপূর্ণ যে ০.২৫ ভাগ স্থাপনা চিহ্নিত হয়েছে তা সরকারি খরচে মেরামত এবং প্রয়োজনে পুনঃনির্মাণ করা হবে। তারপরও এই ত্রুটির জন্য দায়ী এবং দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আক্তার আঁখি, আতাউর রহমান নেকী, ইউনিয়ন পরিষদ পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু, ইঞ্জিনিয়ার সহিদ হাসান লিটু, মুনসুর আহম্মেদ জিন্নাহ, মিজানুর রহমান প্রধান, মোহাম্মদ আলী খোকন, শহিদুজ্জামান জুয়েল, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, গজারিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রইছ উদ্দিন ও মুক্তার হোসেন প্রমুখ।