নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দ্বিতীয়বার সরকারী সাইনবোর্ড সরিয়ে খাল দখলের অভিযোগ উঠেছে ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। কিন্তুু রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি এখনও। গত শুক্রবার উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের ষোলঘর মৌজার আর এস ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত ৬৬২৬ দাগের ০০.০৬ শতাংশ সরকারী খালের জমিতে বালু ভরাট করে দখল করে গাইডওয়ালের জন্য বেড়া নির্মাণ করে চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ মে ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকারী খাস খতিয়ানের ৬৬২৬ দাগের ০০.০৬ শতাংশ সরকারী খাল বালি দিয়ে ভরাট করে। ২ মে অবৈধভাবে সরকারী খাল ভরাটের প্রতিবাদে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় জনগণ মানববন্ধন করলে মানববন্ধনে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করে। পরে শ্রীনগর সহকারী ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে সরকারী খালে সরকারী সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়। এ ঘটনায় “শ্রীনগরে খাল ভরাটের প্রতিবাদে মানববন্ধনে হামলা” শিরোনামে জাতীয় দৈনিক নয়া দিগন্তসহ স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার লোকজন সরকারী সাইনবোর্ড সরিয়ে পুনরায় ভরাট কাজ শুরু করে। এ বিষয়ে গত ২৫ মে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় “শ্রীনগরে ফের খাল ভরাট” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। গত ১০ জুন দুপুরে শ্রীনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেয়া দেবনাথ সরেজমিনে উপস্থিত থেকে খালে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন। ষোলঘর মৌজার ০০.০৬ শতাংশ সরকারি স্বার্থজড়িত জমিতে চেয়ারম্যান আজিজুল কর্তৃক অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করায় এ খালের জমি উদ্ধার করে সাইনবোর্ড লাগানো হলে ঐ দিনই রাতে দ্বিতীয়বার সরকারী সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলে চেয়ারম্যানের লোকজন। দ্বিতীয়বারের মত চেয়ারম্যান কর্তৃক সরকারী সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলার বিষয়ে শ্রীনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেয়া দেবনাথের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঊর্ধ্বতন অফিসারদের অনুমতি ছাড়া কোন বক্তব্য দিব না।