নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের বৈদ্যারগাঁও গ্রামে ফুলদী নদীর পানির তীব্র স্রোতে গ্রামের উত্তরপাড়া ও দক্ষিণপাড়ার একাধিক বাড়ি-ঘর, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হুমকির মুখে। গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা করছেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মেঘনা নদীর শাখা ফুলদী নদী টেঙ্গারচর ইউনিয়নের বৈদ্যারগাঁও গ্রামের দড়িকান্দি খাল দিয়ে পূর্বদিকে বহমান। বর্ষায় পানি বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতা। এই তীব্র স্রোতে ভেঙ্গে গেছে খালের দু’পাড়ের একাধিক বাড়ি -ঘর, রান্নাঘর, গোয়াল ঘর, বাথরুম। হুমকির মুখে রয়েছে প্রায় বিশটি পরিবারের অর্ধশত ঘর-বাড়ি। হুমকির মুখে ৮২নং দড়িকান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন। দেখা গেছে বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে ভবনের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। যেকোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। গ্রামের দক্ষিণপাড়ার বৃদ্ধ বুলু মিয়া জানান, স্রোতের তীব্রতায় ভেঙ্গে গেছে তার বসতভিটার দুই তৃতীয়াংশ। বসতঘরও ভাঙ্গনের মুখে। রাতে ঘুমাতে পারেন না ভয়ে। প্রতিনিয়ত ভাঙ্গনের আতঙ্কে কাটছে সময়। ভাঙ্গনের শিকার আরেক এলাকাবাসী নুর মোহাম্মদ জানান, গত দুই বছর যাবৎ বর্ষাকাল এলেই আতঙ্কে কাটে আমাদের দিন- রাত। এই খালের দু’পাড়ে অধিকাংশই দিনমজুর, কৃষিজীবি, খেটে খাওয়া মানুষের বসবাস। আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ এখানে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি কর্ণপাত করেননাই। ইতিমধ্যে ভাঙ্গনের শিকার হয়েছেন হুমায়ন কবির, নুর মোহাম্মদ, আজিজুর রহমান, আকলিমা খাতুন, প্রতিবন্ধী শহিদ, বুলু মিয়া, ফজলুল হক। বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী ব্যক্তিগতভাবে নিজস্ব অর্থায়নে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের বেড়া, বালু ভর্তি বস্তা ফেলে ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা করছেন। এলাকাবাসীর দাবি, এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙ্গন রোধ করা। এ বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভাঙ্গনের বিষয়টি জানার সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থলে উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি। আমরা তাৎক্ষণিক ভাঙ্গন রোধে বাঁশের বেড়া ও বালুর বস্তার ব্যবস্থা করেছি। পরবর্তীতে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।