নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনায় মামলার ৯ দিন অতিবাহিত হলেও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে প্রধান আসামি মন্তস দাস ও সহযোগীরা। এদিকে শুরু থেকেই কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নে। মামলা ও ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শেখরনগর গ্রামের প্রভাত চন্দ্র দাসের ছেলে মন্তস দাস (২২) পাশের গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত ২০/৭/২০২০ই তারিখে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে প্রথম ধর্ষণ করে। তারপরে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরার মধ্যে বেশ কয়েকবার মন্তস দাস মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। গত ১৬/৭/২০২১ই দুপুরে বিয়ের প্রলোভনে মন্তস দাস মেয়েটিকে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে গেলে মন্তস দাসের পিতা প্রভাত চন্দ্র দাস, মা অহলী, মামা উজ্জ্বল ও পলাশ মেয়েটিকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। ঘটনা জানাজানি হলে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত হন। পরে শেখরনগর মনিপাড়া পঞ্চায়েত বাড়িতে সালিশ করে মন্তস দাসকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৫০টি জুতার বাড়ি রায় করেছে আর জরিমানার ৫০ হাজার টাকা রেখে দিয়েছেন সালিশের নেতাদের কাছে। উপায় না পেয়ে ধর্ষিতা মন্তস দাসসহ আরো ৩ জনকে আসামি করে সিরাজদিখান থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ হারুন বলেন, মূল আসামি মন্তস দাসসহ সবাই পলাতক রয়েছে। তাদেরকে আটক করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সিরাজদিখানে ধর্ষণ মামলার আসামী অধরা
আগের পোস্ট