নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামে ভোগদখলকৃত বিরোধপূর্ণ বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী কায়দায় দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গজারিয়া থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার দুপুরে বালুয়াকান্দি দক্ষিণ মহল্লায় এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। গজারিয়া থানার এস আই কামরুল ইসলাম অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে জানান, বিরোধপূর্ণ বসতবাড়ি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। আদালত কর্তৃক একটি পক্ষকে বিরোধপূর্ণ স্থানে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারী থাকলেও তা আমলে না নিয়ে অনধিকার প্রবেশ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনাসহ ভাঙচুর ও দখলের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগকারী শফিকুল আলম মহসিন জানান, বড় বালুয়াকান্দি মৌজাস্থ সি এস খতিয়ান নং ২৩৬, এস এ খতিয়ান নং ১৭৭, ১৮০, আর এস খতিয়ান নং ৩৫৭, বিআরএস খতিয়ান নং ৮১৭, সি এস দাগ নং ২৮০, আর এস দাগ নং ৬২৫, বিআরএস দাগ নং ২০৯৭ রকম নাল/বাড়ীর ৭৫ শতাংশের অন্দরে ৩৮ শতাংশ ভূমি দীর্ঘ ৩২ বছর যাবৎ ভোগদখল করে আসছিল। জমির মালিকানা নিয়ে একই সাকিনের খোরশেদ আলমের ছেলে আরিফুল ইসলামের সাথে মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলছে। যার প্রেক্ষিতে আদালতে পিটিশন দাখিল করার পর তা মঞ্জুর করে বিবাদীগণকে উক্ত তফসিল বর্ণিত ভূমিতে প্রবেশ করতে নিষেধ করে নোটিশও দেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিজের মালিকানা দাবি করে গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় আরিফুল ইসলাম ২০/২২ জনের একটি দল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দখল করার জন্য টিনের বেড়া ভেঙ্গে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা কেটে আনুমানিক সাত লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে ভোগদখলীয় বসতবাড়িতে সাইনবোর্ড টানিয়ে একটি প্রস্তুত করা বাড়িতে এনে জোর করে স্থাপন করে দখল নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় মহসিনের মা সুফিয়া হক বাঁধা দিতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয় এবং তার গলায় থাকা সোনার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। শফিকুল আরো জানান, তার মা সুফিয়া হক আরিফুল ইসলামের দাদাশ^শুর আনছার আলীর কাছ থেকে এওয়াজ দলিলের মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়ে বসবাস করছিল যে দলিলে সাক্ষী ছিল আনছার আলীর পুত্র ও আরিফের শ^শুর রফিকুল ইসলাম। অভিযোগের বিষয়ে মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি খরিদসূত্রে এই জমিতে ২২ শতাংশ ভূমির মালিক। আদালতে চলমান মামালা নিষ্পত্তি হওয়ার আগে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সন্ত্রাসী কায়দায় দখল ও ভাংচুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে চলে যায়। বিষয়টি নিয়ে কথা বললে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান জুয়েল জানান, আদালতের মামলা চলাকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে জোর করে দখল নিতে যাওয়া আইনের পরিপন্থী। আরিফ স্থানীয়ভাবে দুইপক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে সালিশের মাধ্যমে আগাতে পারতেন।