নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ইছামতি নদী ও তালতলা খালের উপর নির্মিত দুইটি বেইলী ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যানবাহনে যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনে নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মাঝে মাঝে দেবে যাচ্ছে ব্রিজের প্লেটগুলো। বারবার সংস্কার করা হলেও যেকোন সময় দূর্ঘটনার আশঙ্কা জনমনে। সচেতন মহল অনেকে মনে করছেন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে টেকসই ও স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরি। জানা যায়, শ্রীনগর-মুক্তারপুর সড়কের তালতলা খালের উপর নির্মিত বাড়ৈপাড়া ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করছে। ব্রিজটি সরু, সড়ক ও জনপথের হলেও দুটি গাড়ি পাশাপাশি চলতে পারছে না। প্রতিদিন যানজট লেগেই থাকে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগী, অফিসগামীসহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষদের। প্রায় দেড় বছর যাবৎ ৫ টনের অধিক কোন যানবাহন এ ব্রিজ দিয়ে চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ। এ কারণে বেতকা-বালুচর হয়ে সিরাজদিখান সড়কে চলছে ভারি যানবাহন। এতে করে এ সড়কের ১০ কি.মি. রাস্তার বেশ ক্ষতি সাধন হয়েছে। পাশাপাশি এ সড়কের ইছামতি নদীর উপর এলজিইডর নির্মিত সন্তোষপাড়া বেইলী ব্রিজটি আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গত ৩ মাসে দুইবার ব্রিজটি মেরামত করা হলেও গত শুক্রবার আবার ব্রিজের মাঝে ২টি প্লেট দেবে যায়। সিরাজদিখান উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ সড়কে ভারি যানবাহন চলাচল করায় ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সড়ক ও জনপথের বাড়ৈপাড়া ব্রিজ দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করায় সিমেন্ট, রডসহ বিভিন্ন ভারি যানবাহনগুলো এ রুটে চলছে। এ রুটে সর্বোচ্চ ৮ টন চলাচলের রাস্তা ও ব্রিজ। কিন্তু সেখানে ৪০/৪২ টন মালামাল নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সড়ক ও জনপথের রাস্তায় ভারি যানবাহন না চলে লোকাল রাস্তায় ভারি যানবাহন চলাচল করার কারণে ব্রিজ ও রাস্তার ক্ষতি সাধন হচ্ছে। এ ব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলা প্রকৌশলী সোয়াইব বিন আজাদ জানান, ইছামতি নদীর উপর ১১৫ মিটার দীর্ঘ বেইলী ব্রিজটি কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। গত শুক্রবার আবার দেবে গেছে। তালতলা খালের উপর নির্মিত সড়ক ও জনপথের বড় ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রাখায় ইছামতি ব্রিজ দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করে। মুন্সীগঞ্জের যত সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর বড় বড় গাড়িগুলো আছে সব এ রুটে চলে। তাই বারবার এ ব্রিজটির ক্ষতি হচ্ছে। আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি, যাতে করে জেলা মিটিংয়ে বিষয়টি আলোচনায় আনে এবং সড়ক ও জনপথের ব্রিজটি চালুর ব্যবস্থা করে।