নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের মহেশখালীর কুতুবজুম ইউনিয়ন নির্বাচনে কুতুবজুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলাকালে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় আবুল কালাম নামের এক ভোটার নিহত হয়েছেন। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও কয়েকজন। এ ঘটনার জের ধরে এখানকার দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন জানান, দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে প্রথমে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে গুলি ছোঁড়ে একদলের সমর্থকরা। এসময় তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। তিনজনের মধ্যে থেকে একজনের মৃত্যুর খবর শুনতে পাচ্ছি। বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছে। ওই এলাকায় পাশাপাশি দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ ইউনিয়নের পিলটকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সহিংসতায় আরও একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো দুইয়ে। কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালী পৌরসভা এবং জেলার ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে সোমবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এরমধ্যে চকরিয়া ও মহেশখালী পৌরসভার ভোটারেরা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদ জাফর আলমের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগে তাকে এলাকা ত্যাগ করতে চিঠি দিয়েছে ইসি। এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, এ নির্বাচনে দুই পৌরসভায় মেয়র পদে ৮ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৫ জন, সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ৭৬ জন। ১৪ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯২ জন, সংরক্ষিত নারী পদে ১৯৯ জন,সাধারণ ওয়ার্ডে ৭৭৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মহেশখালী পৌরসভায় ১০টি ভোট কেন্দ্রে ২০ হাজার ৪২৭ জন এবং চকরিয়া পৌরসভায় ১৮টি কেন্দ্রে ৪৮ হাজার ৭২৪ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এছাড়া টেকনাফ উপজেলার চার ইউনিয়নে এক লাখ ১৭ হাজার ৬১৫ জন, পেকুয়ার টইটং ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৬১২ জন, মহেশখালী তিন ইউনিয়নে ৮৭ হাজার ৪২৫ জন এবং কুতুবদিয়া উপজেলার ছয় ইউনিয়নে ৮৭ হাজার ৫৮২জন ভোটার ভোট দেবেন।