নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের সকল সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনা আবর্তিত হয়েছে এদেশের মানুষের কল্যাণে- সাধারণ মানুষের স্বার্থ ও আশা-আকাঙ্খাকে ধারন করেই রাজনীতি করেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষকলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর বাঙালি জাতির জীবনে এক তিমির বিদারী আলোর রেখায় দৃপ্ত পায়ে নব পথযাত্রায় এগিয়ে চলার দিন। বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু পরবর্তী সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিন। তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী, প্রিয় মাতৃভূমির উন্নয়ন-অগ্রগতি সমৃদ্ধি ও স্বপ্নজয়ের কান্ডারি; নব পর্যায়ের বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা। সংগ্রামমুখর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে আপন কর্মমহিমায় তিনি হয়ে ওঠেছেন জননেত্রী, দেশরত্ন, সফল রাষ্ট্রনায়ক, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, বঙ্গকন্যা, মানবতার জননী, মানবিকতার বাতিঘর, ক্রাউন অব দ্যা জুয়েল বা মুকুট মণি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উত্থান সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশে হয়নি। ১৯৭৫ সালের কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। সৌভাগ্যক্রমে বিদেশে থাকায় আল্লাহর অশেষ রহমতে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার পর এবং খুনি খন্দকার মোশতাক চক্রের ষড়যন্ত্রে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রগতিশীল রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ তখন চরম দুরাবস্থার শিকার। তখন আওয়ামী লীগের মতো এমন একটি বৃহৎ পরিবারের জন্য প্রয়োজন ছিল ঐক্যসূত্র। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনার অনুসারীদের ঐক্যের প্রতীক হয়েও আবির্ভূত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে যে স্বপ্ন দেখান বা প্রতিশ্রুতি দেন তিনি তা বাস্তবায়ন করেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে তিনি এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের যে শপথ নিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন তা তিনি বাস্তবায়ন করেছেন। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষ জয় করে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ কথার কথা নয়- দৃশ্যমান বাস্তবতা।