নিজস্ব প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতির মুক্তি মিললেও বিবেকের মুক্তির জন্য নুতন প্রজন্মকে যুদ্ধে নামতে হবে। এজন্য তাদের প্রথাগত শিক্ষার বাইরে গিয়ে সহশিক্ষা ও মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ হতে হবে। তাহলেই ধর্মীয় কুসংস্কার, ধর্ষণ এবং দুর্নীতি থেকে দেশকে রক্ষা করা যাবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন দেশের পাঁচ বীর মুক্তিযোাদ্ধা। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যশালা মিলয়াতনে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এপেক্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (এবিএফ) আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর। এবিএফের চেয়ারম্যান ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মুক্তিযোদ্ধা এ এস এম রকিবুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে স্বাধীনতাযুদ্ধে বিভিন্ন খাতে অবদান জন্য পাঁচ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তারা হলেন- স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ জাকারিয়া পিন্টু, ক্র্যাক প্ল্যাটুনের গেরিলা যোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক ও সংগীতশিল্পী শাহীন সামাদ, বীরপ্রতীক মেজর (অব.) ওয়াকার হাসান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মিনু হক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, অর্থনীতির মুক্তির যুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। এবার বিবেকের মুক্তির যুদ্ধ শুরু করতে হবে। তাই নতুন প্রজন্মকে ক্লাসে ফাস্ট নয়, মানবিক হতে হবে। মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা না গেলে, দুর্নীতি, ধর্ষণ ও অবিচার থেকে সমাজকে বাঁচানো যাবে না। এজন্য প্রচলিত শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতিচর্চা মুক্তির পথ হতে পারে। শাহীন সামাদ বলেন, নতুন প্রজন্মকে ‘জিপিএ-৫’ এর গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে ক্রীড়া, শিল্প, সংস্কৃতি এবং সহ শিক্ষায় আরও গুরুত্ব দিতে হবে। নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, স্বাধীনতার এতো বছর পরও আমরা সুশানের অপেক্ষায়। ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এখনও বড় প্রশ্নের মুখে। এ অবস্থা থেকে বের হতে সাম্প্রদায়িক বিরোধ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। যেখানে বঙ্গবন্ধুকন্যা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে একটি মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সংঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী লীনু বিল্লাহ, শুভ্র দেব এবং দীনাত জাহান।