নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার পাস করেছেন মোট ১৩ লাখ ৬ হাজার ৭১৮ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন পেয়েছেন জিপিএ-৫। জিপিএ-৫-এর হার ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ। গতবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন। অর্থাৎ গতবারের তুলনায় এবার ২৭ হাজার ৩৬২ জন বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫২২ জন। মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭২ জন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৭৫ জন।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল)। ফলাফল প্রকাশের পর বেলা সাড়ে ১২টায় শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনের পর সবার জন্য ফলাফল উন্মুক্ত করা হয়।
এবার ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর সাধারণ ৯টি বোর্ডে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এই ৯টি বোর্ডে পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৬ হাজার ২৪২ শিক্ষার্থী। অপরদিকে কারিগরি বোর্ডে পাস করেছেন এক লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ জন। পাসের হার ৯২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এছাড়া মাদরাসা বোর্ডে ১ লাখ ১ হাজার ৭৬৮ জন পাস করেছেন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বোর্ডভিত্তিক পাসের হার
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট পাসের হার ৯৬ দশমিক ২০ ভাগ। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ১৫ হাজার ৯৫৭ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৯ জন।
রাজশাহী বোর্ডে এবার মোট পাসের হার ৯৭ দশমিক ২৯ ভাগ। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৯১৮ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮৯ জন।
কুমিল্লায় মোট পাসের হার ৯৭ দশমিক ৪৯ ভাগ। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৪৬৬ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৬৮০ জন।
যশোর বোর্ডে মোট পাসের হার ৯৮ দশমিক ১১ ভাগ। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৭৪১ জন।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবার মোট পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩৯ ভাগ। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ২৫১ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮৯ হাজার ৬২ জন।
বরিশাল বোর্ডে মোট পাসের হার ৯৫ দশমিক ৭৬ ভাগ। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৬৮ হাজার ৬২২ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬৩ হাজার ৯৬৪ জন।
সিলেট বোর্ডে মোট পাসের হার ৯৪ দশমিক ৮০ ভাগ। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৬৭ হাজার ৯৯৮ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬৩ হাজার ১৯৩ জন।
দিনাজপুর বোর্ডে মোট পাসের হার ৯২ দশমিক ৪৩ ভাগ। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৮৬ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৪৮৪ জন।
ময়মনসিংহ বোর্ডে মোট পাসের হার ৯৫ দশমিক ৭১ ভাগ। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৭০ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬৬ হাজার ২৫০ জন।
কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে এবার মোট পাসের হার ৯২ দশমিক ৮৫ ভাগ। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ জন।
মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে মোট পাসের হার ৯৫ দশমিক ৪৯ ভাগ। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ১৩ হাজার ১৬৭ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৭৬৮ জন।
এর আগে ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন।
গতবারের চেয়ে এবার ৩৩ হাজার ৯০১ জন পরীক্ষার্থী বেশি ছিল। গ্রুপভিত্তিক তিনটি বিষয়ে নম্বর ও সময় কমিয়ে দেড় ঘণ্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) ও সৃজনশীল (সিকিউ) অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি ছিল না।