নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়ায় মো. জান্নাত (১৬) নামে এক কিশোরকে হত্যার অভিযোগে ১২ ঘন্টার মধ্যে দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে গজারিয়া থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রইছ উদ্দীন এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার এসআই সেকান্দর আলী ও অন্যান্য অফিসার ফোর্সসহ গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত গুয়াগাছিয়া গ্রাম থেকে গতকাল শনিবার ভোর ৫টায় আসামী ১. মামুন (৪৫) পিতা: হোসেন (হুসু বেপারী) ২. আলেয়া বেগম (৪৫)কে গ্রেফতার করা হয়। আরো জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় ঘটনার সাথে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, কিশোর মোঃ জান্নাত গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের গুয়াগাছিয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মানিক বেপারীর ছেলে। সে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত বৃহস্পতিবার ১০ মার্চ দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার গুয়াগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জান্নাতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, মো. জান্নাত একই এলাকার তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে ওইদিন রাত ১২টার দিকে প্রেমিকার বাড়িতে গেলে মো. জান্নাতকে প্রেমিকার পরিবারের লোকজন মারধর করে প্রেমিকার বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলে রাখে। পরে জান্নাতের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জান্নাতের দাদা ফজর আলী স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, গত তিন মাস যাবত একই এলাকার জান্নাতীর সঙ্গে আমার নাতি জান্নাতের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়েপক্ষ আমার নাতি জান্নাতকে মারধর করে। এর কয়েকদিন পর মেয়ের ভাই সিজান গত বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইল ফোনে আমার নাতিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় একই দিন নিহতের মা সুমি বেগম বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় একটি মামলা করেন যার নং ১৫ তাং১১/০৩/২২ইং ধারা-৩০২/৩৪। এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রইছ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার ১২ ঘন্টার মধ্যেই দুই আসামী গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। আসামীদ্বয় জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। অন্যান্য আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।