বর্তমানে মাদকাসক্তদের ভরসা ফার্মেসীগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক
ওষুধ নিয়ন্ত্রণ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মত যত্রতত্র গড়ে উঠেছে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসী। প্রশাসনের কোনরকম তোয়াক্কা না করে শুধু ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে অলি-গলি, পাড়া-মহল্লায় দেদারছে জমজমাট ওষুধ ব্যবসা খুলে বসেছে অনেকেই। উপজেলার প্রাণকেন্দ্র শ্রীনগর, ষোলঘর, হাঁসাড়া, বালাশুর, বাড়ৈখালী, আল-আমিন বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ওষুধ ফার্মেসী। রেজিস্ট্রিকৃত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) ছাড়াই মাদকাসক্তরা চাহিবামাত্রই অনেক ফার্মেসীতে বিক্রি হচ্ছে নেশাজাতীয় বিভিন্ন ওষুধ। এসব ফার্মেসীর বেশিরভাগেরই নেই কোন ফার্মাসিস্ট সনদ। অনেকের ড্রাগ লাইসেন্স পর্যন্ত নেই। এসব ফার্মেসীগুলো চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই উচ্চমাত্রায় এজোথ্রমাইসিন অ্যান্টিবায়োটিক, ঘুমের বড়ি ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, নিষিদ্ধ ভারতীয় নকল, মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের নানা প্রকার ওষুধ অবাধে বিক্রি করে আসছে। ফলে একদিকে যেমন ওষুধ ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে সাধারণ ক্রেতারা প্রতারিত হওয়ার পাশাপাশি ঘটছে নানা ধরনের ছোট বড় দূর্ঘটনা। ওষুধ নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৪০ অনুসারে ওষুধের দোকান বা ফার্মেসী দেওয়ার ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তিকে প্রথমেই কমপক্ষে ৬ মাসের ফার্মাসিস্ট কোর্স করে সনদ সংগ্রহ করতে হবে। পরে সংশ্লিষ্ট ড্রাগ সুপারের কার্যালয়ে ফার্মাসিস্ট সনদ জমা দিয়ে ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হয়। ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২-এর ৪ নম্বরের ১৩ নম্বর ধারায় “ফার্মাসিস্টদের নিয়োগ” শিরোনামে ২ নম্বর ধারায় উল্লেখ আছে, কোন খুচরা বিক্রেতা বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের কোন রেজিস্টারের রেজিস্ট্রিভুক্ত ফার্মাসিস্টদের তত্ত্বাবধান ব্যতিরেকে কোন ড্রাগ বিক্রি করতে পারবেনা। সাধারণত এ বি সি এই তিন ক্যাটাগরির ফার্মেসী রয়েছে আমাদের দেশে। অনেকেই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি না পার করেই কম খরচে বেশি লাভের আসায় ফামের্সী বা ওষুধের দোকান নিয়ে বসেছে। উপজেলা পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আবু তোয়া আদনান শাকিল এর কাছে উপজেলায় ফার্মেসীর সংখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সঠিকভাবে বলতে পারেননি। প্রশাসনের সঠিকভাবে তদারকি না থাকার কারণে দিনের পর দিন লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই প্রশাসনের সঠিক নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।