নিজস্ব প্রতিবেদক
দোকান কর্মচারী আপন মামাতো ভাই দোকান মালিককে নিজেকে সাংবাদিক দাবি করে হুমকি ধমকিসহ নানান হয়রানি করার অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ীতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার হাসাইল-বানারী ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে হাসাইলে মানববন্ধন করে হুমকিদাতা বানারী গ্রামের বাবুল শেখের ছেলে ফখরুদ্দিন রাসেলের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ফখরুদ্দিন রাসেলের পরিবার নিম্নবিত্ত হওয়ায় তার ফুফাতো ভাই ইদ্রিস খাঁনের ছেলে রতন খাঁন তার ঢাকাস্থ ধোলাইখালের দোকানে মাসিক বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে রাসেলকে নিয়োগ দেন। সম্প্রতি বানারী গ্রামে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে উভয়পক্ষের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। পরবর্তীতে রাসেল ঢাকায় এসে আর্থিক অনিয়মের কারণে চাকরিচ্যুত হন। এরপরই রাসেল হঠাৎ সাংবাদিক বনে যান। নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে রাসেল তার ফেইসবুক পেইজ শেখ রাসেল ফখরুদ্দীন থেকে বিভিন্ন অনলাইনের লিংক পোস্ট ও শেয়ার করে। সেখানে লেখা মুন্সীগঞ্জে সাংবাদিককে গুলি করে মারার হুমকি। আর বিস্তারিততে লেখা ঢাকার ধোলাইখাল আয়রন মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
রাসেলের হঠাৎ সাংবাদিক বনে যাওয়াকে স্থানীয়রা আতঙ্ক হিসেবে দেখছে। উগ্র রাসেল যেকোন মানুষকে মানহানিসহ ফৌজদারী অপরাধে জড়িয়ে ফেলতে পারে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী আরিফ হোসেন জানান, মামাতো ভাই ফুফাতো ভাইয়ের মধ্যে মনোমালিন্য আর রাসেল নিজেকে সাংবাদিক দাবী করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
শেখ রাসেল ফখরুদ্দিন জানান, আমি মানববন্ধনের বিষয়ে জানি না। আমার বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করছে। আমি দীর্ঘদিন যাবত সাংবাদিকতার সাথে জড়িত।
রতন খান জানান, রাসেল আমার মামাতো ভাই। বেকার থাকায় তাকে আমার দোকানে চাকরি দেই। সে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়ালে আমি তাকে দোকান থেকে বের করে দেই। এখন সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটাচ্ছে।