নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ অর্থনীতির সুখি-সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। এজন্য বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করতে হবে।
গতকাল সোমবার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের রামপাল এনবিএম উচ্চ বিদ্যালয় এবং বছিরন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ও বার্ষিক মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী সমির ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রামপাল এনবিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ও মিলাদ মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীগণ। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোরশেদের সভাপতিত্বে বছিরন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ও বার্ষিক মিলাদ মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান রিপন, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মহিউদ্দিন, কাজী ফুলন, আলী আজগর বেপারী, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, শিক্ষা মানব জীবনের মৌলিক অধিকার। শিক্ষা মানুষকে প্রকৃত মানুষ করে তোলে। শিক্ষা মানুষকে অন্ধকারের অচলায়তন ভেদ করে আলোর পথের সন্ধান দেয়। অশিক্ষা মানুষকে পশ্চাৎপদ করে। শিক্ষাহীন জীবন অন্ধত্বের নামান্তর। একজন মানুষ যদি নিজেকে আধুনিক, উন্নত, সভ্য ও অগ্রবর্তী চিন্তার পথিকৃৎ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে সুশিক্ষিত হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরা দেশ ও জাতির সম্পদÑ আজ ও আগামীর ভবিষ্যৎ। তাদের সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের উপরই নির্ভর করে রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়ন ও সাফল্য। ছাত্রজীবন মানুষের জীবন গঠনের প্রস্তুতিকাল। এই সময়েই তাদেরকে জীবনের আদর্শ কাঠামো তৈরি করতে হবে। যাতে তারা ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পারে। তাদেরকে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে প্রস্তুত করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে নিজেদেরকে বিশ^মানের নাগরিক হিসেবে প্রস্তুত করতে হবে। অপরাপর রাষ্ট্রের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করতে হবে। কারণ টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ অর্থনীতির সুখি-সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে।