নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে অবৈধ ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক প্যাথলজির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ। এসময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৫টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালাসহ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। কিন্তু দুই একদিন পর তা খুলে ফেলা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে অভিযানকৃত এ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকগুলো খোলা দেখা যায়।
সম্প্রতি সারাদেশে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়ে তিনদিনের সময় বেঁধে দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, লৌহজং উপজেলার এলাকায় বেশকিছু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নবায়নবিহীন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় উপজেলার মালিরঅংক এলাকায় ২টি- ফাইভ স্টার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পদ্মা ক্লিনিক, ঘোড়দৌড় এলাকায় ২টি- আফরোজ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সন্ধানী ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং চন্দ্রেরবাড়ি এলাকায় ১টি লাইভ এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়। এগুলোর মধ্যে চারটি খোলা আছে ও একটি বন্ধ আছে। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আমরা লাইসেন্স হাতে পাইনি। তবে চেষ্টা করছি। তাদের কাছে প্রশ্ন ছিলো লাইসেন্স না পেয়ে কেন খুলেন? তারা বলেন, আমাদের লাইসেন্স আছে। এছাড়া আমরা নবায়ন ফি জমা দিয়েছি তাই খোলা রেখেছি।
লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নাজমুস সালেহীন জানান, লৌহজংয়ে ক্লিনিক ও প্যাথলজিগুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় ২০২২ সনের বৈধ লাইসেন্সপ্রাপ্তি কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকায় ৫টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়। সরকারের নির্দেশ পালন করা হয়েছে। সারা বাংলাদেশে লাইসেন্স নবায়নের ফি জমা দিয়ে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার খোলা হয়েছে। তাই লৌহজংয়েরগুলোও খোলা আছে। তাকে জানানো হয় লাইসেন্স নবায়ন ফি জমা দিয়েছে কিন্তু লাইসেন্স হাতে পায়নি। তিনি জানান, যাদের পুরাতন লাইসেন্স নবায়নের জন্য দিয়েছে তারা খুলতে পারবে। নতুনগুলো অবশ্যই লাইসেন্স পাওয়ার পর খুলবে।