নিজস্ব প্রতিবেদক
টঙ্গীবাড়ীতে পাটে চাষে এ বছর চাষীরা বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখলেও সে স্বপ্নে বাঁধ সেধেছে শেষ সময়ে বৃষ্টি ও হঠাৎ পানি চলে আসা। বৃষ্টি ও হঠাৎ পানি চলে আসার কারণে পাট গাছ পরিপক্ব হওয়ার আগেই পাট কাটতে হয়েছে চাষীদের। কারণ বৃষ্টি ও হঠাৎ জমিতে পানি চলে আসায় পাট গাছ পরিপক্ব আঁশ হওয়ার আগেই জমিতে পাট গাছ মরতে থাকায় পাট কাটতে বাধ্য হয় চাষীরা। তাই পাট কাটা, জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো ও ধোয়া নিয়ে কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টি ও বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা হওয়ার কারণে নদীনালা ও খাল ভরে দ্রুত পানি চলে আসে এ উপজেলায় । যেখানে পাট পচানোর উপযোগী পানি রয়েছে সেখানে জাগ দেওয়া ও আঁশ ছাড়ানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাটচাষীরা। উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়নের ভোরন্ডা গ্রামের পাটচাষী মো. গিয়াস উদ্দিন ঢালী, আবু তাহের মোড়ল, মো. দ্বীন ইসলাম শিকদারসহ আরও অনেক পাটচাষীদের পাট নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।
এসময় পাটের ফলন বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষক গিয়াসউদ্দিন ঢালী জানান, আমার জমিতে এবার পাটের ফলন ভালো হয়েছে। আরও ভালো হতো পানি এবং বৃষ্টির কারণে একটু অপরিপক্ক পাট কেটে জাগ দিতে হয়েছে। এখন তা উঠিয়ে আঁশ ছাড়ানো হচ্ছে। পরে ভালো করে ধুয়ে শুকাতে হবে। বাজার ভালো হলে এ বছর আমরা লাভবান হতে পারব।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জয়নুল আলম তালুকদার বলেন, চলতি বছর ৭শত ৩৮ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় বেশি। উপজেলার প্রায় সব জায়গায় পাট কাটা শেষ। এখন কৃষকেরা জাগ দেওয়া ও ধোয়াতে ব্যস্ত আছেন। কৃষক ঠিকমত পরিচর্যা ও সংরক্ষণ করতে পারলে আশা করি এবার কৃষক পাটের ভালো মূল্য পাবে।