নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর উপজেলার পাটাভোগ ইউনিয়নের কামারখোলায় সরকারি জায়গা ভরাট করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। এর আগে ঈদুল আজহার বন্ধের সুযোগে নিচু ঐ সরকারি জমিতে ড্রাম ট্রাক দিয়ে রাতের আঁধারে স্থানীয় শাকিলের সাহায্যে বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি প্রায় ৮ শতাংশ জায়গা ইতোমধ্যে ভরাট করার কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ। যা এখন শেষপর্যায়ে। এছাড়া গ্রামীণ রাস্তা সংলগ্ন দক্ষিণের সরকারি জায়গা নিজের দখলে রাখতে পূর্ব-পশ্চিমমুখী কাঁচা গ্রামীণ রাস্তা ঘেঁষে কাঠ ও টিনের বেড়া দেয়া হয়েছে।
আশেপাশে খোঁজ-খবর নিয়ে আরও জানা যায়, সরকারি জায়গা দখলকারী হাসেম শেখ কামারখোলা গ্রামের ইউনুছ শেখের ছেলে। সে স্থানীয়ভাবে ডিস হাসেম নামে বেশি পরিচিত। ডিস লাইনের ব্যবসা করার কারণে ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব কামারখোলা গ্রামে তার রয়েছে একটি দুরমুজ বাহিনী। বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় উচ্ছৃঙ্খল ও বেয়াদব হওয়ায় কেউ হাসেম বা তার ভাইদের অন্যায় কোন কাজে বাঁধা দেয়া তো দূরের কথা তাদের বিষয়ে কোন প্রকার তথ্য দিতেও ভয় পান।
স্থানীয় প্রবীণ এক ব্যক্তির দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, সরকারি জায়গাটি কামারখোলা মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত ২৯০ আরএস দাগের। যার জমির পরিমাণ প্রায় ৫৬ শতক। কাগজে এর পুরোটা হালট হিসেবে নথিভুক্ত। তিনি বলেন, পূর্বে একসময় এই জায়গায় স্থানীয় বৈশাখী মেলা বসতো। তিনি আরও বলেন, গত রোজার ঈদের বন্ধে হাসেমের বড় ভাই সরকারি একই দাগের পূর্বদিকের প্রায় ৪ শতক জায়গা দখল করে বসতঘর নির্মাণ করেছেন। যে স্থাপনাটি এখনও দৃশ্যমান ও বহাল তবিয়তে রয়েছে। প্রবীণ ব্যক্তিটি বলেন, আপনাদের কাছে একটি অনুরোধ, আমার নামটি প্রকাশ করে আমাকে বিপদে ফেলবেন না। কোনভাবেই হাসেম গংয়ের দুরমুজ বাহিনীর কুনজরে আমি পড়তে চাই না। কারণ তাদের হাত অনেক লম্বা।
সরকারি জমি দখলের ব্যাপারে জানতে চাইলে মো. হাসেম বলেন, জায়গা দখল ক্ষমতা থাকলে সবাই করে। মনে করেন কম বেশি আমিও করছি। আপনারা এসব বিষয়ে লেখালেখি করে আমার কিছুই করতে পারবেন না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুম মোল্লা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শ্রীনগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব নজরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিতে এখনই কামারখোলায় লোক পাঠাচ্ছি।