নিজস্ব প্রতিবেদক
এক সময়ের চরম অভাব আর দারিদ্রতা দমিয়ে রাখতে পারেনি আয়েশা বেগমকে। পরিশ্রম দিয়ে দারিদ্রতাকে জয় করার দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন আয়েশা বেগম। ছাগল পালন করে অল্প সময়েই জীবনের রং বদলে দিয়ে সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি। একটি ছাগল থেকে হয়েছেন লক্ষ টাকার মালিক। তাই তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন তিনি আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। তিনি এখন এলাকার অনেকের কাছে একটি উদাহরণ। তার এই সফলতা দেখে খুশী গ্রামবাসী।
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রামের আয়েশা বেগম ইট ভাঙ্গার কাজ করে একটি ছাগল ক্রয় করেন। বুক ভরা আশা নিয়ে ছাগলটিকে পরম মমতায় লালন পালন করেন। মাত্র ৬ মাস পর ছাগলের ৩টি বাচ্চা হয়। একসময় এই চারটি ছাগল থেকে ৩ বছরে ২০টি ছাগলের মালিক হয়ে যান আয়েশা বেগম। তার মধ্যে খাসির পরিমাণ প্রায় অর্ধেক। তার স্বপ্ন সত্যি হতে থাকে। এভাবেই ধীরে ধীরে ছাগল বিক্রি করে তিনি বেশ মুনাফা পেতে থাকেন।
আয়েশা বেগম তার সফলতা নিয়ে বলেন, একসময় আমি ভাত দেখিনি চোখে। খেয়ে না খেয়ে দিন কেটেছে। ইট ভেঙ্গে টাকা জমিয়ে একটি ছাগল কিনেছিলাম। সেই ছাগল থেকেই আমার আজ অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন আমি সবাইকে নিয়ে ভালো আছি।