নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত সাতদিন যাবত পানি সরবরাহ বন্ধ। ফলে হাসপাতালের ওয়ার্ডে থাকা নারী-পুরুষ, শিশুসহ প্রায় ৫০ জন রোগীসহ স্বজনেরা বিপাকে পড়েছেন। রোগীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সাতদিনেও পানি সরবরাহ নিয়মিত হচ্ছে না।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ২৬ অক্টোবর রাত থেকে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে আছে। এতে ওয়ার্ডের অর্ধ-শতাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা বিপাকে পড়েছেন।
স্বজনরা জানান, গত ৭ দিন ধরে দুর্গন্ধ ও নোংরা পরিবেশে বাধ্য হয়ে থাকছি। একই তথ্য জানিয়েছেন হাসপাতালের লেবার ও গাইনি ওয়ার্ডের রোগী ও স্বজনরা। হাসপাতালে থাকা ডাক্তার ও নার্সদেরও একই অভিযোগ।
লৌহজং উপজেলা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লৌহজং হাসপাতালে এভাবে পানি সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। এখানকার বাথরুমের অবস্থা নোংরা ও ব্যবহার উপযোগী নয়। এছাড়া অনেক রোগী চিকিৎসা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছে। লৌহজং উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের এরকম অবস্থা বলার ভাষা নেই। শুধু দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সবাই অন্ধ। তবে এর নেপথ্যে আছে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতা।
লৌহজং উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুস সালেহীন এ তথ্য স্বীকার করে বলেন, পানি সংকট, নোংরা পরিবেশ হাসপাতালে রয়েছে। জেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রকৌশলী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন না।
গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের এমপি সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলিকে পানি সংকটের বিষয়টি জানানো হয়। তিনি পানি সংকট নিরসনে সরবরাহকৃত পাইপলাইন সংস্কার, নতুন মোটর স্থাপন, বাথরুমে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল আউয়ালকে এ বিষয়ে তিনি অবগত করেছেন। মুন্সীগঞ্জ জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রধান নির্বাহীসহ কর্তৃপক্ষ লৌহজং উপজেলা হাসপাতালের বর্তমান অবস্থা কেন গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না এ বিষয়ে জানতে মুন্সীগঞ্জ জেলা নির্বাহী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।