নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে প্রবাসীর স্ত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন প্রবাসীর বড় ভাই। গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের নাইশিং গ্রামে। এ বিষয়ে বাদী হয়ে প্রবাসীর স্ত্রী সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে নাইশিং গ্রামের মহসিন হাওলাদারের ছেলে মিলন হাওলাদার (২৮) একই গ্রামের মৃত ইয়ানুছ মিয়ার ছেলে প্রবাসী আলমগীর হোসেনের স্ত্রী অঞ্জনা খানমকে (২৬) নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিলো। গত কয়েকদিন আগে তার স্বামী দেশে আসলে স্বামী ও ভাসুর জামাল উদ্দিনকে বিষয়টি অবগত করেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বাড়ির সামনে কালভার্টের উপর মিলন হাওলাদারসহ কয়েকজন দাঁড়িয়ে থাকলে সেসময় ভাসুর জামাল উদ্দিন বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে তর্কাতর্কির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে মিলনসহ কয়েকজন মিলে জামাল উদ্দিনকে বেদম মারধর করে। এতে জামালের নাকের হাড় ভাঙ্গাসহ শরীরে বেশ জখম হয়। স্বজনরা খবর পেয়ে দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে এলাকায় মহসিন ও মিলনের সাথে কথা বলতে গেলে তাদের পাওয়া যায়নি। থানায় অভিযোগের কারণে তারা গা ঢাকা দিয়েছে। তবে তাদের পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) জানান, আলমগীরের স্ত্রীকে মিলন কোথাও একা দেখলে মোবাইল নং চাইতো, আরো শুনেছি বাজে কথা বলতো। কয়েকদিন আগে আলমগীর দেশে আসলে ওর স্ত্রী আলমগীর ও জামাল উদ্দিনকে বলার পর তারা মিলনকে মারধর করেছে। মিলন ওয়ার্ড মেম্বারের কাছে বিচার দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর জামাল ব্রীজ দিয়ে মেম্বারের বাড়ি যাওয়ার সময় মিলনরা ওকে মারধর করেছে।
মালখানগর ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সায়েম সিকদার বলেন, বিষয়টি নিয়ে বসে সমাধান করার কথা ছিলো। কিন্তু বসার আগেই তারা দুইপক্ষ ৪ দফায় মারামারি করেছে। দুইপক্ষের দুইজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। একজনের নাকে আঘাত ও আরেকজনের চোখে আঘাত লেগেছে।
সিরাজদিখান থানার ওসি মিজানুল হক জানান, বিষয়টি অবগত হয়েছি। মহিলাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা হয়েছে।