নিজস্ব প্রতিবেদক
সারাদেশেই ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান তাপপ্রবাহও দূর হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দেশের ছয় অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত ও পাঁচ অঞ্চলের নদীবন্দরে ১ নম্বর নৌ সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশেই বৃষ্টি হয়েছে, কোথাও কোথাও ছিল কালবৈশাখী ঝড়। দেশের ৪৩টি আবহাওয়া স্টেশনের তিনটি ছাড়া সবগুলোতে বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এসময়ে সবচেয়ে বেশি ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে। উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা বেশি ছিল। রংপুরে ৫৮, ডিমলায় ৪৯, তেঁতুলিয়ায় ৩৯, রাজারহাটে ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত রাতে ঢাকায় ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার সকালে ঢাকায় ফের বৃষ্টি হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েন অফিস কিংবা বিভিন্ন কর্মস্থলগামী মানুষ। যদিও এরপর মেঘ কেটে রোদের দেখা মিলেছে।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এসময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রাজশাহী, নওগাঁ, মৌলভীবাজার, যশোর এবং কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে বলেও জানান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।