নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়ায় ভবেরচর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে একাদশ শ্রেণিতে পাঠদানের অনুমতি পাওয়ায় উপজেলার প্রথম মহিলা কলেজ হিসেবে নারী শিক্ষায় আশার আলো দেখাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
জানা যায়, চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা মঞ্জুরী কমিটি ভবেরচর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এন্ড কলেজে একাদশ শ্রেণিতে মানবিক, ব্যবসা শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিভাগে পাঠদানের অনুমতি প্রদান করে। উপজেলার ভবেরচরস্থ ওয়াজীর আলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ভবেরচর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, যা গত কয়েক যুগ ধরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে এলাকার নারী উন্নয়নে অবিস্মরণীয় অবদান রেখে আসছিল। এবার প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার প্রথম মহিলা কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় নারীদের উচ্চশিক্ষায় আরো বেশি ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সচেতন নাগরিক সমাজ। অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বিদ্যালয়টি কলেজ পর্যায়ে উত্তীর্ণ হতে পেরেছে। যা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এলজিইডি’র প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ মামুনুর রশিদ এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমেরই ফসল। এর আগে গজারিয়ায় নারীদের উচ্চশিক্ষায় মানসম্পন্ন তেমন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না। তাই বিদ্যালয়টি কলেজে উন্নীত হওয়ায় বহু দূর-দূরান্তের মেয়েরা এখানে অধ্যয়নের লক্ষ্যে আসবে। আগামীদিনে তার সঠিক দিকনির্দেশনা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্তরিকতায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি নারী শিক্ষায় মডেল হয়ে উঠবে বলেই বিশ্বাস সাধারণ মানুষের।
প্রতিষ্ঠানটির জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল আশানুরূপ। মাধ্যমিক পর্যায়েও ভাল করবে বলে আশা রাখে অভিভাবকবৃন্দ। তবে কলেজ শাখা শুরু হওয়ায় নতুন ও প্রয়োজনীয় ভবন নির্মিত হলে প্রতিষ্ঠানটি গতিশীল হবে বলে মনে করেন অনেকে।
যার সঠিক দিকনির্দেশনায় প্রতিষ্ঠানটি স্কুল থেকে কলেজে উন্নীত হলো, প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
সদ্য শিক্ষক নিয়োগ ও সার্বিক বিষয় নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, গজারিয়ার কৃতি সন্তান এলজিইডি এর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন, গজারিয়ায় কোন মহিলা কলেজ নেই। তাই মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে অভিভাবকেরা বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন। যারা নিজেদের চেষ্টায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছে তারা হয় সোনারগাঁও, না হয় দাউদকান্দি অথবা ঢাকা চলে যাচ্ছে। অনেক পরিবার সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য শহরে চলে যাচ্ছে, যা অনেক পরিবারের জন্য কষ্টসাধ্য। গজারিয়া উপজেলা ক্রমশ নগরে পরিণত হচ্ছে। তাই নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমার এই প্রচেষ্টা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারী শিক্ষায় যে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তা থেকে গজারিয়ার নারীরা যেন বঞ্চিত না হয় সেলক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে অনিয়মের কথা উঠেছে তা একেবারেই ভিত্তিহীন। আমরা এখনো কোন শিক্ষক নিয়োগ দেইনি। কোন কিছুই নিয়মের বাহিরে হওয়ার সুযোগ নেই।
ভবেরচর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এন্ড কলেজ নারী শিক্ষায় জাগাচ্ছে আশার আলো
আগের পোস্ট