নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ৩শত ফুট একটি রাস্তার সংস্কার কাজে ধীর গতির কারণে যাতায়াতে বেকায়দায় পড়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডস্থ বেগম বাজার ব্রীজের সংযোগ সড়কের ৩শত ফুট রাস্তার নির্মাণ কাজ প্রায় ১৫ দিন পূর্বে শুরু করা হয়। অদ্যাবধি রাস্তার নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় রাস্তাটি দিয়ে চান্দেরচরসহ আশপাশের আরো বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাতায়াতে বেকায়দায় পড়েছেন। রাস্তাটি নির্মাণের জন্য বালুচর ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারি ওয়ান পার্সেন্টের যৌথ অর্থায়নে ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও কাজ সমাপ্তির সময় বেঁধে না দেওয়ায় রাস্তার নির্মাণ কাজ ধীর গতিতে করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বালুচর ২নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দাদের বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, রাস্তা নির্মাণের কাজ করছেন বালুচর ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলেকচাঁন সজিব। তিনি দু’দিন পরপর কাজ বন্ধ রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে রাস্তার কাজ দ্রুত হচ্ছে না। ফলে কয়েক গ্রামের মানুষকে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া মাঝেমধ্যে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে। জনসাধারণের যাতায়াতের ভোগান্তির ইতি টানতে রাস্তাটি দ্রুত নির্মাণের দাবী তাদের।
বালুচর ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলেকচাঁন সজিব মুঠোফোনে বলেন, ইটভাটার ট্রাক যাওয়া-আসার কারণে কাজে ব্যাঘাত ঘটছে এবং ইটভাটার ট্রাক চলার কারণে বিকল্প রাস্তাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আর কাজ বন্ধ রাখার যে বিষয়টা সেটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। কাজ ধরলাম সবেমাত্র চারদিন হলো। দু’দিন পরপর বন্ধ রাখার সুযোগ কোথায় আপনিই বলেন। সাথে বৃষ্টির কারণে তেমন কাজও করা যায় না। আগামীকাল শুক্রবার রাস্তার ঢালাই কাজ সম্পন্ন হবে। আর দু’একটা দিন মানুষের কষ্ট হবে, তারপর সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
এ ব্যপারে বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আওলাদ হোসেন বলেন, রাস্তার কাজ ধীর গতিতে হচ্ছে না বরং বৃষ্টি বাদলের জন্য কাজ করা যাচ্ছে না। আগামীকাল শুক্রবার যদি বৃষ্টি না আসে তাহলে ঢালাই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। এরপর ঢালাই শুকাতে যতক্ষণ লাগে। কাজটির জন্য বালুচর ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারী ওয়ান পার্সেন্টের যৌথ অর্থায়নে ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সিরাজদিখানে রাস্তা নির্মাণে ধীর গতি, বেকায়দায় ১০ হাজার মানুষ
আগের পোস্ট