নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে জোরপূর্বক জমি দখল ও রোপণকৃত সরিষা নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে সোহেল গংদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের আদাবাড়ি ধামালিয়া নামক স্থানে।
গতকাল রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মালপদিয়া মৌজার আরএস ৫১৮১, ৫১৮২ ও ৫১৮৩ দাগের ফসিল জমিটির একটি অংশ মাছ ধরার জাল দিয়ে বেড়া দেওয়া। অন্য একটি অংশে মুনছুর আহমেদ নামে সাইনবোর্ড সাঁটানো। এছাড়া জমিটি চাষ দিয়ে রাখা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিরাজদিখান থানাধীন মধ্যপাড়া ইউনিয়নের মালপদিয়া মৌজাস্থিত আরএস ৩৯৮, ৩৫১নং খতিয়ানের আরএস ৫১৮১, ৫১৮২ ও ৫১৮৩ নং দাগের নাল জমির ৪৩.৬০ শতাংশ জমি ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ভোগ দখল করছিল মুনছুর আহমেদ। ভোগ দখলে থাকাবস্থায় একই গ্রামের মোঃ সোহেল (৩৫), রাজ্জাক বেপারী (৬০), স্বপন বেপারী (৪০) ও মহাসীন (৩৬) মিলে জোরপূর্বক ভোগ দখল করার পায়তারা করে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ নভেম্বর সকাল ৮টার দিকে অভিযুক্তরা লোকজন নিয়ে সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের জন্য জমিতে বোনা ফসল নষ্ট ও জমিতে থাকা ৩টি সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আমরা যতটুকু জানি, দীর্ঘদিন ধরে জায়গার মালিক মনসুর আহমেদ। তারাই ভোগ দখল করে আসছে এতদিন ধরে। এখন হঠাৎ করে সোহেল গংরা নিজেদের জায়গা বলে দাবি করছে। তাই আমাদের মতে, সোহেল গংরা অবৈধভাবে জায়গা দখল করার চেষ্টা করছে। মূলত এই জায়গার মালিক মনসুর আহমেদ।
জমির মালিক মুনসুর আহমেদের ছেলে মৃন্ময় বলেন, ৪০ বছর ধরে এই জায়গা আমরা ভোগ দখল করে আসছি। খরিদ সূত্রে এই জায়গার মালিক আমরা। অথচ সোহেল গংরা এখন অস্বীকার করছে। এই জায়গা নিয়ে একটি মামলাও হয়েছে। যার রায় আমাদের পক্ষে এসেছে। কিন্তুু তারপরও তারা জোর করে আমাদের জায়গা দখল করার চেষ্টা করছে।
অভিযুক্ত সোহেল বলেন, এই জমি আমাদের। আমরা মনসুর আহমেদের কাছে কোন জমি বিক্রি করিনাই। ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে তারা নিজেদের জায়গা দাবি করছে।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেয়া হবে।